
মাসুদ রানা,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:: দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে শত শত মাংসের দোকান রয়েছে। আর এসব দোকানে পবিত্র রমজান মাসে যত্রতত্র অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে মুরগি, গরু ও ছাগল জবাই, ড্রেসিং ও মাংস বিক্রি হচ্ছে। এতে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি তৈরি হচ্ছে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সরেজমিনে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট বাজারে মাংস বিক্রির দোকান ঘুরে দেখা গেছে, খোলা নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস রেখে বিক্রি করছেন দোকানিরা। কোনো কিছু দিয়ে ঢেকে না রাখা বা সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করায় মশা-মাছি বসছে মাংসগুলোতে। আবার খোলা রাখায় রাস্তার ধুলাবালি এসে পড়ছে সেই মাংসে।
আর জনসাধারণগণ অনেকে সচেতনতার অভাবে কোনো রকম চিন্তা না করেই সেই এইসব মাংস কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে যেমন স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে, তেমনি বাড়ির অন্যান্যরা বিশেষ করে শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এ ছাড়াও রয়েছে অসুস্থ ও ল্যাংড়া গরু জবাই করার অভিযোগ। নাম বলতে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন, আমি প্রায় দেখি এক কসাই তার নিজ বাড়িতে অসুস্থ গরু জবাই করে টুকরো টুকরো করে বাজারে বিক্রি করে। নির্ধারিত স্থান থাকলেও সেখানে গরু জবাই করে না এবং বিক্রিও করে না। এতে আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে।
পাকেরহাট বাজারে খালেদ রায়হান নামের এক ব্যক্তি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘খোলা বাজারে মুরগি জবাই করা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ। কিন্ত আমরা গরীব মানুষ না বুঝেই সেগুলো ক্রয় করে থাকি। তবে এ ব্যাপারে তো মাংস বিক্রেতা দোকানিগণ সতর্কতা অবলম্বন করে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস বিক্রি করতে পারে। তিনি আরও বলেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মুরগি জবাই ও ড্রেসিং খোলা নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস রেখে বিক্রি করলে বার্ডফ্লুসহ নানা ধরনের রোগ জীবাণু ছড়াতে পারে।’
খানসামা বাজারের মাংস ক্রেতা রাজু বলেন, ‘নির্ধারিত স্থান থাকা সত্ত্বেও যত্রতত্র গরু জবাই করছে। এতে মশা, মাছির বিস্তার বাড়ছে তাতে করে আমরাসহ শিশুরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
এই ব্যাপারে এক দোকানির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মাংসের দোকানে তো মাছি পড়বেই।’
উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমরা খবর পেলেই সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছি সেখানে এবং তাদেরকে সাবধান করে দিচ্ছি এরপরও কেউ দুঃ সাহস দেখায় তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। তাছাড়া আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানা করছি।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মারুফ হাসান বলেন, ‘খুব শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করে মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা হবে এসব দোকানদারকে’
ছবির ক্যাপশন: অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিক্রি হচ্ছে মাংস। এসব মাংসের উপর বসে আছে মাছি। ছবিটি দিনাজপুরের খানসামার পাকেরহাট বাজার থেকে তোলা
খানসামায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস বিক্রি; বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি
মাসুদ রানা,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি; দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে শত শত মাংসের দোকান রয়েছে। আর এসব দোকানে পবিত্র রমজান মাসে যত্রতত্র অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে মুরগি, গরু ও ছাগল জবাই, ড্রেসিং ও মাংস বিক্রি হচ্ছে। এতে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি তৈরি হচ্ছে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সরেজমিনে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট বাজারে মাংস বিক্রির দোকান ঘুরে দেখা গেছে, খোলা নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস রেখে বিক্রি করছেন দোকানিরা। কোনো কিছু দিয়ে ঢেকে না রাখা বা সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করায় মশা-মাছি বসছে মাংসগুলোতে। আবার খোলা রাখায় রাস্তার ধুলাবালি এসে পড়ছে সেই মাংসে।
আর জনসাধারণগণ অনেকে সচেতনতার অভাবে কোনো রকম চিন্তা না করেই সেই এইসব মাংস কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে যেমন স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে, তেমনি বাড়ির অন্যান্যরা বিশেষ করে শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এ ছাড়াও রয়েছে অসুস্থ ও ল্যাংড়া গরু জবাই করার অভিযোগ। নাম বলতে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন, আমি প্রায় দেখি এক কসাই তার নিজ বাড়িতে অসুস্থ গরু জবাই করে টুকরো টুকরো করে বাজারে বিক্রি করে। নির্ধারিত স্থান থাকলেও সেখানে গরু জবাই করে না এবং বিক্রিও করে না। এতে আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে।
পাকেরহাট বাজারে খালেদ রায়হান নামের এক ব্যক্তি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘খোলা বাজারে মুরগি জবাই করা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ। কিন্ত আমরা গরীব মানুষ না বুঝেই সেগুলো ক্রয় করে থাকি। তবে এ ব্যাপারে তো মাংস বিক্রেতা দোকানিগণ সতর্কতা অবলম্বন করে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস বিক্রি করতে পারে। তিনি আরও বলেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মুরগি জবাই ও ড্রেসিং খোলা নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস রেখে বিক্রি করলে বার্ডফ্লুসহ নানা ধরনের রোগ জীবাণু ছড়াতে পারে।’
খানসামা বাজারের মাংস ক্রেতা রাজু বলেন, ‘নির্ধারিত স্থান থাকা সত্ত্বেও যত্রতত্র গরু জবাই করছে। এতে মশা, মাছির বিস্তার বাড়ছে তাতে করে আমরাসহ শিশুরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
এই ব্যাপারে এক দোকানির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মাংসের দোকানে তো মাছি পড়বেই।’
উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমরা খবর পেলেই সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছি সেখানে এবং তাদেরকে সাবধান করে দিচ্ছি এরপরও কেউ দুঃ সাহস দেখায় তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। তাছাড়া আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানা করছি।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মারুফ হাসান বলেন, ‘খুব শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করে মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা হবে এসব দোকানদারকে’
ছবির ক্যাপশন: অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিক্রি হচ্ছে মাংস। এসব মাংসের উপর বসে আছে মাছি। ছবিটি দিনাজপুরের খানসামার পাকেরহাট বাজার থেকে তোলা
মাসুদ রানা,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি; দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে শত শত মাংসের দোকান রয়েছে। আর এসব দোকানে পবিত্র রমজান মাসে যত্রতত্র অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে মুরগি, গরু ও ছাগল জবাই, ড্রেসিং ও মাংস বিক্রি হচ্ছে। এতে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি তৈরি হচ্ছে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সরেজমিনে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট বাজারে মাংস বিক্রির দোকান ঘুরে দেখা গেছে, খোলা নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস রেখে বিক্রি করছেন দোকানিরা। কোনো কিছু দিয়ে ঢেকে না রাখা বা সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করায় মশা-মাছি বসছে মাংসগুলোতে। আবার খোলা রাখায় রাস্তার ধুলাবালি এসে পড়ছে সেই মাংসে।
আর জনসাধারণগণ অনেকে সচেতনতার অভাবে কোনো রকম চিন্তা না করেই সেই এইসব মাংস কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে যেমন স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে, তেমনি বাড়ির অন্যান্যরা বিশেষ করে শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এ ছাড়াও রয়েছে অসুস্থ ও ল্যাংড়া গরু জবাই করার অভিযোগ। নাম বলতে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন, আমি প্রায় দেখি এক কসাই তার নিজ বাড়িতে অসুস্থ গরু জবাই করে টুকরো টুকরো করে বাজারে বিক্রি করে। নির্ধারিত স্থান থাকলেও সেখানে গরু জবাই করে না এবং বিক্রিও করে না। এতে আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে।
পাকেরহাট বাজারে খালেদ রায়হান নামের এক ব্যক্তি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘খোলা বাজারে মুরগি জবাই করা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ। কিন্ত আমরা গরীব মানুষ না বুঝেই সেগুলো ক্রয় করে থাকি। তবে এ ব্যাপারে তো মাংস বিক্রেতা দোকানিগণ সতর্কতা অবলম্বন করে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস বিক্রি করতে পারে। তিনি আরও বলেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মুরগি জবাই ও ড্রেসিং খোলা নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস রেখে বিক্রি করলে বার্ডফ্লুসহ নানা ধরনের রোগ জীবাণু ছড়াতে পারে।’
খানসামা বাজারের মাংস ক্রেতা রাজু বলেন, ‘নির্ধারিত স্থান থাকা সত্ত্বেও যত্রতত্র গরু জবাই করছে। এতে মশা, মাছির বিস্তার বাড়ছে তাতে করে আমরাসহ শিশুরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
এই ব্যাপারে এক দোকানির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মাংসের দোকানে তো মাছি পড়বেই।’
উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমরা খবর পেলেই সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছি সেখানে এবং তাদেরকে সাবধান করে দিচ্ছি এরপরও কেউ দুঃ সাহস দেখায় তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। তাছাড়া আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানা করছি।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মারুফ হাসান বলেন, ‘খুব শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করে মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা হবে এসব দোকানদারকে।