বুধবার, ১৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

গাইবান্ধায় রাস্তা ও সেতুর অভাবে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ

Oplus_0

মাইদুল ইসলাম, রংপুর ব্যুরো: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নে একটি রাস্তার অভাবে ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নের দক্ষিণ মরুয়াদহ ও উত্তর মরুয়াদহের মধ্য পয়েন্ট খালের পাশে ২০০৭ সালে নাড়ির কুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত করা হয়। এখানে প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। বিদ্যালয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা না থাকায় শুষ্ক মৌসুম বা বর্ষা মৌসুমে উত্তর দিক থেকে আসা শিক্ষার্থীরা পড়েন চরম বিপাকে।

স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, পাশে রেকর্ডভুক্ত সরকারি রাস্তা থাকলেও তা বর্তমানে অন্যদের দখলে। আর মাঝে প্রায় ৫০ মিটার ব্যক্তিগত সম্পত্তি এবং এর পরেই খাল। খাল পার হলেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

স্থানীয় ব্যক্তি রুহুল আমিন জানান, এখানে একটি রাস্তা নির্মাণ করা হলে এলাকাবাসীসহ শিক্ষার্থীদের অনেক উপকার হবে। শোভাগঞ্জ বাজার থেকে বাড়িতে আসতে প্রায় ৬ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয়। রাস্তাটি নির্মাণ করা হলে আমাদের কৃষিজাত পণ্য বিপননসহ চলাচলের দুর্ভোগ লাঘব হবে। সেই সাথে অত্র বিদ্যালয়টিতে আসতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আর কষ্ট হবে না। তাই রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে নাড়ির কুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান জানান, বিদ্যালয়ের উত্তরে আমার প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করতে অনেক কষ্ট হয়। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে ছোট আইল দিয়ে এসে বিএডিসির খাল পার হতে অনেক সময় বই,ড্রেস ভিজে যায়। তাই আমি চাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখানকার রাস্তাটি পুনঃ উদ্ধার পূর্বক নির্মাণ এবং খালের ওপরে একটি ছোট কালভার্ট নির্মাণ করলে আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ বিপুল সংখ্যক এলাকাবাসীর কষ্ট লাঘব হবে।

বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী কুমারী পুথি রাণী ও কুমারী শিমু রাণী জানান, রাস্তা না থাকায় বাড়ি থেকে স্কুলে আসতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। তারপরে বর্ষাকালে খাল পার হতে পারি না। কলা গাছের ভেলায় পার হতেও সমস্যা হয়। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন এখানে একটা রাস্তা ও ব্রিজ দেয়া হোক।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানলাম। আমাদের কাছে লিখিত আবেদন আসলে শিক্ষা কমিটির মিটিং এ বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ