
খাঁন মো. আ. মজিদ (দিনাজপুর) : দিনাজপুর বোচাগঞ্জ উপজেলাধীন মণিপুর এলাকার আলম হাজির ইট ভাটার বিষাক্ত ধোয়ার কারণে আশ-পাশের আনুমানিক ২০০ বিঘা জমির ধান ক্ষতিগ্রস্তের অভিযোগ উঠছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, এই ইট ভাটার বিষাক্ত ধোয়ার কারণে আমরা প্রতি বছর ক্ষতিগ্রস্ত হই। ব্যাংক, এনজিও থেকে আমরা লোন নিয়ে আবাদ করি, কিন্তু ফসল নষ্ট হওয়ার কারণে তা শোধ করতে পারিনা। তারা ক্ষোপ প্রকাশ করে বলেন, প্রতি বছর ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আমরা কোনো সহয়তা পাইনি।
তারা আরও জানান, ইতিমধ্যে বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি। তার ভিত্তিতে কৃষি অফিসারের সহযোগী মো. রাসেল আহমেদ এবং তার সাথে থাকা মো. রায়হান নামে এক কর্মচারী মনিপুর এলাকার গ্রামবাসীদের সম্মুখে পরিদর্শন করেন। এবং ৬৩ জন ক্ষতিগ্রস্ত ধানি জমির মালিকদের স্বাক্ষর গ্রহণ করে। কিছু ধান পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য নিয়ে যান। তারা বলেন কোন পোকায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, না হলে হয়তো কেমিক্যাল বিশের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পরীক্ষার পর বুঝা যাবে।
দুই কৃষি অফিসার চলে যাওয়ার সময় ধানি জমির মালিক এবং মনিপুর এলাকার গ্রামবাসীরা তাদের ৬৩ জনের স্বাক্ষর তার প্রমাণ কি স্বাক্ষরকৃত ডকমেন্টের কপির প্রমাণ রাখতে চাই তৎক্ষণিক তাঁরা দিতে বাধ্য হয়।
এদিকে স্থানীয় সাংবাদিকরা স্পটে গেলে তাদের কে কোন তথ্য না দিয়ে শান্তনামূলক কথা বলে পাঠিয়ে দেন। এবং তারপর দিন আলম হাজির ইটভাটার ম্যানেজার পরিচয়ে মো. বাবু এক প্রবীণ সিনিয়র সাংবাদিকের সাথে খারাপ আচরণ করলে সিনিয়র সাংবাদিক চলে আসতে বাধ্য হয়।
ম্যানেজার পরিচয়ে মো. বাবু বলেন, আমি খুব টেনসনগ্রস্ত এ বিষয়ে কোন তথ্য দিতে পারবো না ইটভাটা তো একটা নয় পাশে ইটভাটা আরো আছে। কোনো ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় ধানি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে আমি তা জানি না।
উপরোক্ত বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে সঠিক নিরপেক্ষতা বজায় রেখে তদন্তপূর্বক বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশ প্রশাসনের উদ্ধতনক কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন বোচাগঞ্জ উপজেলাধীন মনিপুর এলাকার ভুক্তভোগী ও গ্রামবাসীরা।