
মো. মাহফুজুর রহমান বিপ্লব, ফরিদপুর : ফরিদপুরে চর অঞ্চলে রাসেলস ভাইপার সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়া আতঙ্কিতভাবে জীবনযাপন করছেন চরাঞ্চলের মানুষ। তাদের জনজীবন হয়ে পড়েছে হুমকির মুখে।
রাসেলস ভাইপারের প্রতিরোধকমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ফরিদপুরের চরাঞ্চলের কৃষকদের মাঝে গামবুট বিতরণ করেছেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক।
রোববার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চত্বরে কৃষাণ-কৃষাণিদের হাতে গামবুট তুলে দেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার।
জানা যায়, ফরিদপুরের চরাঞ্চলে রাসেলস ভাইপার সাপের উপদ্রব বেড়েছে। সাপের আতঙ্কে ক্ষেতে যাচ্ছে না কৃষক। ক্ষেতেই অনেক ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই সাপের কামড়ে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, রাসেলস ভাইপারের ভয়ে কৃষকরা ক্ষেতে ফসল তুলতে যেতে পারছিল না। কৃষকদের কথা চিন্তা করে সাপের কামড় থেকে বাঁচাতে গামবুট দেয়া হয়েছে। চরাঞ্চলের চাষিদের মাঝে আজ গামবুট দেয়া হলো। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ইউনিয়নের চাষিদের মাঝে গামবুট বিতরণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া সচেতনতায় মাইকিংসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত এ্যান্টিভেনম মজুদ করা হয়েছে। চরাঞ্চলের কোনও চাষিকে সাপে কাটলে দ্রুত হাসপাতালে আনার জন্য স্পিড বোটের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। কৃষকের সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে। জেলা প্রশাসন কৃষকদের পাশে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
ফরিদপুর সদর উপজেলার চরাঞ্চলখ্যাত নর্থচ্যানেল ও ডিক্রিরচর ইউনিয়নের দুই শতাধিক কৃষকের মাঝে গামবুট বিতরণ করা হয়। এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক চৌধুরী রওশন ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইয়াছিন কবির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রামানন্দ পাল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না তাসনীম, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা উপস্থিত ছিলেন