
মো. মাঈনউদ্দীন, সন্দ্বীপ : সাগরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাটে সকল প্রকার নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে। সাগরকন্যা খ্যাত সন্দ্বীপ এর চতুরপাশ নদী এবং সাগর পরিবেষ্টিত। এই দ্বীপে আছে প্রায় চার লাখ লোকের বসবাস।
সন্দ্বীপের মানুষের চলাচলের এক মাত্র ভরসাস্থল হচ্ছে কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌঘাট। আরো কয়েকটা ঘাট থাকলেও শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ এই ঘাট দিয়ে চলাচল করে।বর্ষা মৌসমে আবহাওয়া যখন খারাপ থাকে বিশেষ করে সাগরে ৩ নম্বর বা তার চেয়ে বেশি সতর্ক সংকেত দেখা দিলে চট্টগ্রাম বিআইডব্লিউটিসির নিয়ম অনুযায়ী জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
তারই ধারাবাহিতায় গত ৫/৬ দিন যাবত কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে শতশত যাত্রী প্রতিদিন সকালে ঘাটে এসে বসে থাকে। কোনো প্রকার যানবাহন চলাচল না করায় তারা আবার ঘাট থেকে ফেরত যায়।
এই বিষয়ে ঘাটফেরত এক যাত্রী জানান, আমি সন্দ্বীপে সরকারি চাকরি করি। ৫ দিনের প্রশিক্ষণে তিনি চট্টগ্রাম এসেছিলেন। প্রশিক্ষণ শেষে আজকে ৩ দিন যাবত তিনি কর্মস্থলে ফিরতে পারতেছে না।
সরেজমিন দেখা যায়, ঘাটে অপেক্ষারত যাত্রীদের মধ্যে অনেকে আছে অসুস্থ। অনেকে স্বজনদের নিয়ে চট্টগ্রাম যাবে। অনেক প্রবাসী আছে জরুরিভাবে চট্টগ্রাম যাবে না হয় তিনি ফ্লাইট মিস করবেন। এ অবস্থায় অনেকে আছেন জীবনের ঝুঁকি অনেকটা বাধ্য হয়ে কাঠের বোটে করে চট্টগ্রাম পাড়ি দেন।
চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ আসা লিটন নামে এক যাত্রীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান অনেকটা মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে সন্দ্বীপ আসছেন।
এছাড়া সাগরের অবস্থা খারাপ থাকায় ঠিকমত চলছে না মালের বোট।এতে করে সন্দ্বীপের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য সংকট দেখা যাই।এতে কাঁচা তরকারি বিক্রেতা উচ্চ মূল্যে বিক্রি করছে খাদ্যদ্রব্য। এমনকি প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রও ঠিকমত আসতে পারছে না।
এই বিষয়ে ঘাট কর্তৃপক্ষ ও বিআইডব্লিটিসির চট্টগ্রাম এর মহাপরিচালক গোপাল চন্দ্র মজুমদার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, আমাদের নিয়ম মেনে চলতে হবে।আমাদের কাছে মানুষের জীবনের মূল্য বেশি।












