রূপক দত্ত চৌধুরী, শ্রীমঙ্গল : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল পৌরসভার নতুন বাজারের চাল, আলু ও ডিম বাজারের পরিত্যক্ত ঘোষণা হওয়া ভবনটি পৌর কতৃপক্ষ উদ্যোগে ভেঙে ফেলা হয়েছে।
আজ সোমবার সকাল থেকে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র মো. মহসিন মিয়া মধু’র নির্দেশে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে পৌর কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনটি থেকে ব্যবসায়ীদের সরিয়ে নিয়ে ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
নতুন বাজারের ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনের ভেতরে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পাইকারি ও খুচরা চাল, আলু, ডিম, চিড়া, মুড়ি, খই বিক্রি করতেন।
ভবনের পাশের ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, ঝুকিপূর্ণ এই ভবনের ছাদ, কলাম, বীমসহ বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় অনেক ফাঁটল দেখা দিয়েছিলো। ছাদের বেশিরভাগ অংশের আস্তরণ খুলে বেড়িয়ে এসেছিলো রড। অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা সত্বেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
শ্রীমঙ্গল পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ভবনের ছাদের অনেক জায়গা ভেঙে গিয়েছিলো, ভবনের বিভিন্ন জায়গার পলেস্টার ফেঁটে ফেঁটে পড়ছিলো। আমরা ব্যবসায়ীদের এখান থেকে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। যেহেতু ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ, যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ছিল। তিনি বলেন, আমরা তাদের অন্যত্র সুযোগ দেয়া হবে ব্যবসা করার জন্য বলেছি। ব্যবসায়ীদের সাথে আমরা কয়েক দফা বৈঠকও করেছি।
তিনি আরো বলেন, এটি ঝুঁকিপুর্ণ থাকায় আমরা প্রথমে জেলা প্রশাসকের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন করি। পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গত ২৪ মার্চ এই বাজারের ভবনকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে আমরা মানুষের জানমাল রক্ষার্থে পৌরসভার পক্ষ থেকে এই ভবনটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করি।
এছাড়াও ভবন ভাঙ্গার অভিযানে শ্রীমঙ্গল থানার এসআই সুব্রত দাসের নেতৃত্বে পুলিশের টিম সহযোগিতা করেন।
এ অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর কাজী আব্দুল করিম, মীর এম এ সালাম, আব্দুল জব্বার আজাদ, চয়ন রায়, আলকাছ মিয়া, হানিফ চৌধুরী, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রেদোয়ান এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী ফয়ছল আহমেদ ও ঠিকাদার মো. কুতুব উদ্দিন।