শুক্রবার, ১৩ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২৭শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

ফিতা কাটতে পারেন, বন্যার্তদের কাছে যেতে পারেন না- তোপের মুখে অপু

যায়যায়কাল ডেস্ক:দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ায় বন্যার্তদের সহযোগীতায় এগিয়ে আসছে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। যাদের মধ্যে রয়েছেন শোবিজ অঙ্গনের তারকারা। নিজেদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন বন্যা কবলিত অঞ্চলের মানুষের পাশে থাকার।

তবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে অনেকে কটু কথাও শুনছেন। বিশেষ করে যারা বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন, তাদের হয়ে কাজ করেছেন- সেসব তারকারা তোপের মুখে পড়ছেন।

চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের সঙ্গেও এমন কিছু ঘটনাই চোখে পড়েছে। যেখানে বন্যার্তদের সহযোগিতায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েও কটু কথা শুনতে হয়েছে এই নায়িকাকে।

সম্প্রতি ফেসবুকে এক ভিডিও পোস্ট করে অপু জানান, বন্যার্তদের আর্থিক সহযোগিতায় করছেন তিনি।

এই নায়িকা জানান, দেশে আকস্মিক বন্যায় অসহায় হয়ে পড়া মানুষের জন্য আমার পক্ষ থেকে ছোট্ট একটু উপহার। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হওয়ায় মনটা ভালো নেই। অসহায় হয়ে পড়া মানুষগুলোর আর্তনাদ দেখলে মন চায় ছুটে যাই তাদের কাছে। অসহায় বাচ্চাদের মায়াবী মুখগুলো দেখলে বুকটা ছটফট করে, কারণ আমার নিজেরও ছেলে আছে। এসব ছোট্ট বাচ্চাদের মাঝে আমি আমার ছোট্ট জয়কে খুঁজে পাই। কিন্তু আমার একমাত্র ছেলে জয়কে রেখে তাদের কাছে ছুটে যেতে পারছি না।

এই স্ট্যাটাসের পরই ভক্তদের রোষানলে পড়েন অপু। একজন লেখেন, ‘ছোট্ট জয়কে রেখে সারা দেশে ফিতা কাটতে পারেন আর বন্যার্তদের কাছে যেতে পারেন না। এসব ভণ্ডামি ছাড়েন।’

অপর একজন প্রশ্ন ছুঁড়ে লিখেছেন, ‘আপার (শেখ হাসিনা) সঙ্গের ছবিগুলো কেন সরালেন।’ কেউ লিখেছেন, ‘দান করছেন সেজন্য ধন্যবাদ। কিন্তু যে বাটপাড়ি করেছেন সেইগুলো মানুষ মনে রাখবে।’

কেউ কেউ আবার শেখ হাসিনার দোসর বলে যেমন তকমা দিচ্ছেন এই নায়িকাকে। কেউ বলেছেন সুবিধাভোগী। অধিকাংশই আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে তার সম্পর্ক, বিভিন্ন সময় দলটির হয়ে প্রচারণা, মনোনয়ন প্রত্যাশার প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। বিশেষ করে ছাত্রদের আন্দোলনে তার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *