শাহনাজ বেগম, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জ পৌরশহরের প্রবেশমুখ মানিকপুরের হাসপাতালের সামনের রাস্তাটি খানাখন্দে ভরপুর। ফলে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে অসুবিধা দেখা দিয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে থাকায় দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
এ সড়ক দিয়ে অন্য উপজেলার সাধারণ মানুষের চলাচলে অসুবিধা দেখা দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এসব ঘটনায় পৌরশহরের রাস্তা সংস্কার না করায় পৌরবাসী বিরক্তি প্রকাশ করছেন।
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার সীমানায় প্রবেশের মানিকপুর দশতলা ভবনের অংশের রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে ভরে গেছে।
রাস্তাটির পিচের ঢালাই উঠে গেছে। রাস্তার বিভিন্ন অংশে ছোট্ট ছোট্ট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক গর্ত থেকে গ্যাস বের হচ্ছে। তাতে বৃষ্টির পানির জমাট বাঁধলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে।
এখানে রাস্তার বৃষ্টির পানিতে এ পথে চলাচলকারীরাও পড়ে নানা রকমের বিড়ম্বনায়।
এ সড়ক পথটি সবার কাছে নানাভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এর প্রধান কারণ হচ্ছে- এ সড়ক পথটি হচ্ছে জেলা শহরে প্রবেশপথ। জেলার একাধিক উপজেলার লোকজন এ পথ ধরেই জেলা শহরে আসা-যাওয়া করে থাকে। তাছাড়া এ সড়ক পথের পাশেই রয়েছে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ফলে বিপাকে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের।
এলাকাবাসী জানান, বেহাল দশার কারণে বেশ কয়েক মাস আগে রাস্তাটির সংস্কার কাজ করা হয়। রাস্তাটি মেরামত কাজ শেষে ভালোই চলছিল। স্থায়ীভাবে রাস্তাটির সংস্কার না হওয়ায় পুনরায় আবার সড়কটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে।বর্তমানের চিত্র ভয়াবহ রুপ নিয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘হাসপাতালে রাস্তার প্রতিবছর বর্ষা হলে ভেঙে যায়। তার উপর রাস্তার নিচে গ্যাসের লাইন লিক থাকায় আমরা যতই রিপেয়ার করতাম ততই ভেঙে যেত। এই রাস্তাটা আরসিসি বা রড দিয়ে ঢালাই করার একটা পরিকল্পনা ছিল আমাদের এবং সেটা আমরা পাঠিয়েছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘এরপর দেশের বর্তমান সার্বিক চলমান পরিস্থিতিতে পরিকল্পনা কবে নাগাদ বাস্তবায়ন হবে তা বলা মুশকিল। প্রথম যে প্যাকেজগুলো পাঠানো হয়েছে সেখানে প্রধান সড়কের প্যাকেজগুলো পাঠানো হয়নি। পরবর্তীতে দৃশ্যমান প্রধান সড়কের প্যাকেজগুলো বার বার বলার পর পাঠানো হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মৌসুমী মাহবুব এর সাথে আজকে কথা বলে বর্তমানে জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে রাস্তাগুলোর সংস্কার কাজ দ্রুত শুরু করার কথা বলেন। লঞ্চঘাট টু ডিসি অফিস পর্যন্ত সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
পাশাপাশি হাসপাতাল রোডের বেহাল দশা সংস্কারে এবং রোগীদের চলাচলে সড়কটি দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া আশ্বাস দেন তিনি।