
কুড়িগ্রাম উত্তর প্রতিনিধি: অনেক জলপনা কল্পনার পরে, অন্তরে ধামাচাপা দিয়ে রাখা কথা বের করলো এলাকাবাসী। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চরুয়াপাড়া গ্রামের মৃত দুলালের ছেলে আব্দুস সাত্তার ঘাস মারা কীটনাশক পান করে ১৬ সেপ্টেম্বর মারা যান।
আব্দুস সাত্তার মারা যাওয়ার পর জানা যায়, তার স্ত্রীর সঙ্গে আপন ছোট দেবর এরশাদের অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।
শুক্রবার বিকেল ৪টায় চরুয়াপাড়া জামে মসজিদের পাশে অনেক লোকের উপস্থিতিতে এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এলাকাবাসী জানায়, সাত্তারের স্ত্রী বিগত কয়েক বছর ধরে দেবর এরশাদের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িত ছিল। কিন্তু বিষয়টি এলাকার মানুষ তাদেরকে বললে উল্টো বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দিতেন এরশাদ। আজ জনসম্মুখে বিষয়টি প্রমাণ করতে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়ে এরশাদ প্রথমে উপস্থিত লোকজনের কাছে অস্বীকার করেন।
একপর্যায়ে এরশাদ ও মৃত সাত্তারের স্ত্রীর ডিএনএ পরীক্ষা করার কথা বলেন এলাকাবাসী। তখন তোপের মুখে এরশাদ বলেন, আমি বললে আপনারা তো বিশ্বাস করবেন না। আপনাদের যা বিচার করেন আমি মেনে নেব।
বিচারক ভিতরবন্দ জামে মসজিদের খতিব তাদের অনৈতিক সম্পর্কে বিষয়ে কয়েকজন সাক্ষী উপস্থাপন করতে বলেন, যারা তাদের অনৈতিক সম্পর্ক দেখেছেন। কিন্তু সবাই অপারগ হয়ে জানায় আমরা শুনেছি। প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী না পাওয়ায় মাওলানা অনৈতিক সম্পর্কের বিচার করতে ব্যর্থ হয়।
উক্ত সালিশে উপস্থিত ছিলেন ভিতরবন্দ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা হাবিবুর রহমান তাকী ও চরুয়াপাড়া জামে মসজিদের খতিম হাফেজ মাওলানা আলমগীর হোসেন ও চরুয়াপাড়া মসজিদের কমিটির সভাপতিসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
আব্দুস সাত্তারের মৃত্যুর বিষয়ে নাগেশ্বরী থানা অফিসার ইনচার্জ রুপ কুমার সরকার বলেন, বিষ পান করে মারা গেছে শুনেছি। সেখানে তদন্ত করতে গিয়েছিল পুলিশ। পরিবারের দাবি, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। সে জন্য অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।