
রুহুল আমিন বাবু, বাগেরহাট: বাগেরহাটে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সংক্রান্ত নাটক ‘নোনা জলের কান্না’ প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকালে বাগেরহাট পুরাতন শিল্পকলা একাডেমি মিলানায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়। নাটকটিতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যেসব নতুন নতুন সমস্যা সৃষ্ঠি হচ্ছে এবং উপকূলবাসী সেটি কিভাবে মোকাবেল করছে সেটি ফুটিয়ে তোলা হয়।
আলোচনা সভায় বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এএসএম মনজুরুল হাসান মিলনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাগেরহাট এনজিও সেলের সহকারী কমিশনার তড়িৎ চন্দ্র শীল, জেলা দূর্যোগ ও ত্রান বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মাসুদুর রহমান, মেডিকেল অফিসার ডাঃ শেখ রিয়াদুজ্জামান প্রমুখ।
এ্যাক্টিভিস্টা বাগেরহাট ও রামপালের উদ্যোগে এবং বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থা ও একশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় একশন ফর ট্রান্সফরমেশন প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, বাগেরহাট দক্ষিণ অঞ্চলের একটি জেলা, সমুদ্র তীরবর্তী হওয়ায় এই এলাকার মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মেনে নিয়ে যুদ্ধ করে জীবন অতিবাহিত করছে। প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন সমস্যার মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করতে হয় এই জনপদের মানুষের। জলবায়ু পরিবর্তনের এই সকল প্রতিকূলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য এবং বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরি, লবনাক্ততা দূরিকরন, সুপেয় পানি নিশ্চিত করতে, জেন্ডার সংবেদনশীল সরকারী সেবা নিশ্চিত, যে কোন দুর্যোগ যেমন ঝড় বন্যা, খরা ,নদী ভাঙন রোধ করতে, এছাড়া জরুরি অবস্থায় যুব নারী ও পুরুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে আন্দোলন করে যাচ্ছে।
তারা বলেন, চিংড়ি চাষের অযুহাতে প্রতিবছর হাজার হাজার হেক্টর কৃষি জমি অনাবাদি হয়ে পরে থাকে, কিছু সুবিধাবাদী প্রভাবশালীদের দৌরাত্মে প্রতি বছর স্লুইজগুলো খুলে দিয়ে লবণ পানি গ্রবেশ করিয়ে হাজার হাজার হেক্টর কৃষি নষ্ট হয়।
যদি বছরের ৪ মাস অর্থাৎ মার্চ-জুন পর্যন্ত লবণ পানি প্রবেশ বন্ধ করা যায় তাহলে আমাদের এই অঞ্চলে কৃষির সাথে মাছও চাষ করা সম্ভব হবে। পরে যুবদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর ও সরকারী দপ্তরের প্রতিনিধিদের অঙ্গিকার লিখে অতিথিদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করে দেয় যুবারা।