খাঁন মো. আ. মজিদ, দিনাজপুর: দুই কিশোর হত্যার অভিযোগে দিনাজপুরের-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) নির্বাচনী আসনের সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপালসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে বীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৯০ হতে ১০০ জনকে।
মামলার এজাহারনামীয় আসামি উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের প্রাণনগর গ্রামের মো. জালাল উদ্দিনের ছেলে মো. জাহের আলী (৩৫)-কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
গত রোববার বীরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ভগিরপাড়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী মোছা. জহুরা খাতুন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বীরগঞ্জ থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত এ মামলায় একজন গ্রেফতার হয়েছে। তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ৪ জানুয়ারি বিকাল ৪টায় বাদীর ছেলে সালাউদ্দিন (১৬) একই উপজেলার গনপৈত গ্রামে তার খালার বাসায় বেড়াতে যায়। তার খালুর নাম মো. দেলোয়ার হোসেন। পরদিন ৫ জানুয়ারি সকাল ১০টায় খালার বাড়ি হতে নিজবাড়ি আসার পথে তার বন্ধু সাহাডুবি উত্তর পাড়া গ্রামের মো. আলিম উদ্দিনের আসাদুল (১৫) এর বাড়িতে যায়।
এরপর দুপুর ১২টায় হেঁটে বাড়ি উদ্দেশে রওয়ানা হয়। পরে দুপুর একটায় শিবরামপুর ইউনিয়নের ভেলাপুকুর বাবুর হাট নামক স্থানে পৌঁছা মাত্রই এজাহার নামীয় আসামিগণসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা তার পথরোধ করিয়া শিবির বলিয়া চিৎকার করে মারধর শুরু করে। আসামিদের মারপিট ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আসাদুল ও সালাউদ্দিন গুরুতর আহত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে তাকে টেনে হিঁচড়ে আসামি প্রিয় নাথের বাড়ির সামনে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন তাদেরকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তাদের শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ জানুয়ারি বিকেল আনুমানিক ৫টা ১৫ মিনিটে সালাউদ্দিন মৃত্যুবরণ করেন এবং ৬ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক ৭টা ২০ মিনিটে আসাদুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করেন।
আসামিগণ ক্ষমতায় থাকায় উক্ত ঘটনার ন্যায়বিচার পাওয়া এবং মামলার করার মতো কোন অনুকূল পরিবেশ ছিল না। বর্তমানে অনুকূল পরিবেশ থাকায় ন্যায়বিচার প্রাপ্তির লক্ষ্যে বীরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।