
খাঁন মো. আ. মজিদ, দিনাজপুর : চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে ক্রয় করে দিনাজপুরে আসার পথে সিরাজগঞ্জে ছিনতাই হওয়া ১৯ লাখ টাকা মুল্যের ৬০ ড্রাম পাম অয়েলের হদিস মেলেনি ৮ দিনেও।
ট্রাকসহ ৬০ ড্রাম পাম অয়েল উদ্ধার না হওয়ায় দিনাজপুর চকবাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রাম কুমার গুপ্ত হতাশ হয়ে পড়েছেন।
ছিনতাইকৃত ট্রাকসহ পাম অয়েল উদ্ধারের জন্য পুলিশ প্রশাসনসহ পরিবহন সংস্থা অল বেঙ্গল ট্রান্সপোট, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের দ্বারে দ্বারে গেলেও কোনো সুরাহা পাননি।
গত সোমবার সকালে দিনাজপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ছিনতাইকৃত ট্রাকসহ পাম অয়েল উদ্ধারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, আইজিপিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন রাম কুমার গুপ্ত।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘গত ৭ অক্টোবর চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে আমার ক্রয়কৃত ৬০ ড্রাম পাম্প তেলসহ দিনাজপুর আসার পথে ট্রাকসহ পাম অয়েল ছিনতাই হয়। পতেঙ্গা থেকে ইসমাইল ফুডস প্রোডাক্টের কাছ থেকে ৬০ ড্রাম পাম্প অয়েল ক্রয় করি। নিয়ম অনুযায়ী, পরিবহন সংস্থা অল বেঙ্গল ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে ট্রাকে (ট্রাক নং মেট্রো ট-১৩-০৮৩৬ ) তেলের ড্রাম লোড করে দিনাজপুর উদ্দেশে ৭ অক্টোবর সকাল ৮ টা পতেঙ্গা থেকে রওনা দেওয়ার পর রাত আড়াই টায় সিরাজগঞ্জ জেলার চান্দাইকোনায় ট্রাকসহ তেল ছিনতাই হয়।’
তিনি বলেন, ‘ছিনতাই ঘটনা জানার পর আমরা থানা পুলিশের দ্বারস্থ হই। জরুরি সেবা ৯৯৯ কল করি। দিনাজপুর চেম্বারের সভাপতি রেজা হুমায়ুন ফারুক চৌধুরীকে জানালে জেলা পুলিশ সুপার নাজমুল হাসানের সঙ্গে দেখা করে ছিনতাইয়ের ঘটনা জানানো হয়। পরবর্তীতে কোতোয়ালি থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেওয়া হয়নি। থানার বক্তব্য ঘটনাস্থল সিরাজগঞ্জ সেখানে মামলা করার পরামর্শ দেন। এ ব্যাপারে আমরা সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থানা এবং পতেঙ্গা অল বেঙ্গল ট্রান্সপোর্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সুফল পাইনি।’
তিনি আরও বলেন ‘মালামাল পরিবহনে আমাদের যদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হয় তাহলে ব্যবসায়ী মহল চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অনেকে ব্যবসার পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়বে।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সবার কাছে আবেদন ছিনতাইকৃত ট্রাকসহ পাম অয়েল উদ্ধারে সহযোগিতা করবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রেজা হুমায়ুন ফারুক চৌধুরী শামীম, দিনাজপুর ভোগ্যপণ্য পাইকারী ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান ডাবলু, দপ্তর সম্পাদক রাজকুমার গুপ্ত ও ব্যবসায়ী মানিক গুপ্ত।