শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ট্রপিকাল হোমসের ডিএমডি নুরুল হুদা ও ম্যানেজার শাহীনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

oplus_0

মোহাম্মদ মনির, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: ট্রপিকাল হোমস লিমিটেড নামে একটি আবাসন প্রতিষ্ঠানের ডিএমডি নুরুল হুদা ও ম্যানেজার সাজ্জাদুল আলম শাহীনের বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও কোটি কোটি টাকা অর্থ আত্মসাতসহ গুরুতর সব অভিযোগ এনেছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের স্ত্রী অ্যাডভোকেট ফেরদৌসী আক্তার রুনা।

জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে বুধবার মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন এসব অভিযোগ করেন ট্রপিকাল হোমস কোম্পানি লিমিটেড চেয়ারম্যান ডা: রেজাউল করিম সান্নার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করা অ্যাডভোকেট ফেরদৌসী আক্তার রুনা।

‘আলোকিত বগুড়া’ নামে একটি অরাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন মহসিন এন্টারপ্রাইজ এর সত্ত্বাধিকারী মো. মহসিন আলী, মানবাধিকার কর্মী আবু শাহেদ, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও মানবাধিকার কর্মী মো. সাইফুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।

বক্তারা অনতিবিলম্বে ট্রপিক্যাল হোমসের দুষ্কৃতিকারী কর্মকর্তা ডিএমডি নূরুল হুদা ও ম্যানেজার শাহীনকে আইনের আওতার এনে বিচারের দাবি জানান ভুক্তভোগী রুনার পরিবার।

তাদের অভিযোগ, সম্পত্তির অংশীদার থেকে বঞ্চিত করার জন্য একজন স্বামীকে স্ত্রীর নিকট থেকে জোরপূর্বক আলাদা করে স্বামীকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ট্রপিকাল হোমস লিমিটেডের ডিএম ডি মো: নুরুল হুদা, ডিজিএম ফাহাদ-উর-রহমান সুহাস ও বগুড়া অফিসের ভুয়া ম্যানেজার সাজ্জাদুল আলম শাহিন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ট্রপিকাল হোমস কোম্পানি লিমিটেড চেয়ারম্যান ডা: রেজাউল করিম সান্নার দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করেছেন ফেরদৌসী আক্তার রুনা। দীর্ঘ ছয় বছর আগে ডা: রেজাউল করিম সান্নার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। রেজাউল করিমের আগের স্ত্রী-সন্তান মেনে নিয়ে ভালোই চলছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। কিন্তু এই দাম্পত্য জীবনে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন ট্রপিকাল হোমস লিমিটেড নিয়োগপ্রাপ্ত ডিএমডি মো. নুরুল হুদা ও ভুয়া ম্যানেজার সাজ্জাদুল আলম শাহীন।

জানা যায়, পাঁচ বছর আগেও এই নুরুল হুদার সামান্য মাথা গোজার ঠাঁই ছিল না। ১০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি দেন কোম্পানির চেয়্যারমান। কিন্তু ডিএমডির পদ ব্যবহার করে একাই হাতিয়েছেন প্রায় ১৪শ’ কোটি টাকা । তার নিজ জেলায় সিরাজগঞ্জে আলিশান বাড়িসহ নামে-বেনামে রয়েছে বিভিন্ন জায়গায় একাধিক বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট ও জায়গা জমি। এ যেন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ।

পাশাপাশি পঞ্চম শ্রেণী পাস শাহীন ভুয়া ম্যানেজারের পদ নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে কামিয়াছেন কোটি কোটি টাকা। তারও রয়েছে নামে-বেনামে বাড়ি, গাড়ি ও ফ্ল্যাট। অফিসে বসেই প্রকাশ্যে নারী, জুয়া, ও মদের আসরে বসাতেন তারা। প্রচুর দুর্নীতি ও অনিয়ম করে নরকের ত্রাস বানিয়েছেন প্রত্যেক অফিসে।

ফেরদৌসী আক্তার রুনা এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলাতে তার স্বামী ডা: রেজাউল করিম সান্নাকে অবরুদ্ধ করে রেখে। তার স্ত্রী ফেরদৌসি আক্তার রুনার সঙ্গে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় নুরুল হুদা ও শাহীন গংরা। হত্যার উদ্দ্যেশে গত ২৭ মার্চ তাকে আঘাত করে। পরে তিনি বাদি হয়ে মামলা করেন। নুরুল হুদা ও শাহীন গংরা প্রতিনিয়ত চেয়ারম্যানের মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। চেয়ারম্যান মারা এই কোম্পানি আত্মসাৎ করে নিবেন তারা।

অ্যাডভোকেট ফেরদৌসী আক্তার রুনা ৮ অক্টোবর পুলিশ কমিশনারসহ সরকারের উচ্চ পযার্য়ের ৪টি দপ্তরে তিনি অভিযোগ দায়ের করেন যা তদন্তাধীন রয়েছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on tumblr
Tumblr
Share on telegram
Telegram

, , বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ