বৃহস্পতিবার, ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

বিভিন্ন দাবি নিয়ে বাংলাদেশ জেলা পরিষদ কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

মো. আবিদ হাসান, স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ জেলা পরিষদ কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর গাবতলীর বেরীবাঁধ সংলগ্ন বড়বাজার সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনভেনশন সেন্টারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জেলা পরিষদ কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি কে এম রাশেদুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. চুন্নু মিয়া সহ বাংলাদেশ জেলা পরিষদ কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ।

আলোচনা সভায় কমিটির সদস্যবৃন্দরা প্রস্তাবিত সংস্কারসমূহ ও বেতনগ্রেড এবং অর্গানোগ্রাম প্রবর্তনসহ বিভিন্ন দাবির কথা তুলে ধরেন। প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি প্রদানপূর্বক দেশের প্রতিটি জেলা পরিষদে (পার্বত্য জেলা ব্যতীত) তাদের পদায়নের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০০৭ সালে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। অথচ এ পদে পদোন্নতি যোগ্য পর্যাপ্ত পরিমাণের ফিডার পদধারী কর্মচারী রয়েছেন।

তাদের দাবি, জেলা পরিষদের প্রকৌশল শাখায় নিজস্ব সহকারী/সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী, উপসহকারী প্রকৌশলী শতভাগ নিয়োগ ও পদোন্নতির মাধ্যমে পদায়ন। সচিবালয় ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ন্যায় জেলা পরিষদ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তন। মাস্টাররোলে কর্মরত কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

উল্লেখ্য, চাকরি স্থায়ী হওয়ার আশায় অগণিত কর্মচারী স্বল্প বেতনে ২০-৩০ বছর ধরে চাকরি করে আর্থিক অভাবে বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। জেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে আনুতোষিক শতভাগ পরিশোধের ব্যবস্থা করা।

জেলা পরিষদের বিদ্যমান সাংগঠনিক কাঠামো ও চাকরি বিধিমালা সংশোধনের ব্যবস্থা করা। সংশোধিতব্য সাংগঠনিক কাঠামোতে সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা পদ সৃষ্টি করে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মধ্য হতে পদোন্নতির মাধ্যমে তা পূরণ করা।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের স্মারক মোতাবেক প্রধান সহকারী/শাখা সহকারী/উচ্চমান সহকারী/বাজেট পরীক্ষক(হিসাবরক্ষক) এর পরিবর্তিত পদবি ‘প্রশাসনিক কর্মকর্তা’ পদে এবং সাঁটলিপিকার পদ হতে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা পদে উন্নীতকরণ। সংস্থাপন মন্ত্রনালয়ের ১৯.১১.১৯৯৪ সালের সম(বিধি-২) পদোন্নতি-২৭/৯৪-১৬৪ নং স্মারকের নির্দেশনার আলোকে জেলা পরিষদে কর্মরত ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (সার্ভেয়িং) ডিগ্রিধারী সার্ভেয়ারগণকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ।

প্রতিটি পদে তিন বছর অন্তর পদোন্নতির ব্যবস্থা করা। সংস্কার কমিটিতে জেলা পরিষদের একজন কর্মচারীকে প্রতিনিধি হিসেবে রাখা।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. চুন্নু মিয়া বলেন, আমরা কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ সকলে পদোন্নতি হতে বঞ্চিত। আইন অনুযায়ী যেভাবে পদোন্নতি হওয়ার কথা ছিল সেইভাবে আমাদেরকে পদোন্নতি দেওয়া হয় নাই।

সংগঠনের সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, আমরা সকলেই পদোন্নতি হতে বঞ্চিত। তাই এই সংগঠনে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি মজবুত সংগঠন তৈরি করতে হবে। সবার পদোন্নতিসহ মাস্টাররোলে কর্মরতদের স্থায়ীকরণের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তাহলে আমাদের সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে।

সভাপতি কে এম রাশেদুজ্জামান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের ও সংগঠনের যেসব সদস্যবৃন্দ মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের জন্য দোয়া চান। তাছাড়া সংগঠনের যারা অসুস্থ আছেন তাদের সুস্থতা কামনা করেন তিনি। বাংলাদেশ জেলা পরিষদ কর্মকর্তা কর্মচারী সমিতির সদস্যবৃন্দদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে তিনি আলোচনা সভা সমাপ্ত ঘোষণা করেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *