রবিবার, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

খুলনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের দাবিতে প্রচারাভিযান

উত্তম দাস, খুলনা : খুলনায় একটি জনসমাবেশের আয়োজন করে পরিবেশ ও সামাজিক অধিকার রক্ষাকারী বিভিন্ন সংগঠন, যেমন ধ্রুব, কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (ক্লিন) এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিডাব্লিউজিইড)।

বিশ্বব্যাংকের বিনিয়োগ নীতিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পগুলির প্রতি জোর দেওয়ার জন্য আজ বুধবার এই সভার আয়োজন করা হয়। যা ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিতব্য বার্ষিক বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বৈঠকের আগমুহূর্তে বিশ্বব্যাপী প্রচারণার অংশ ছিল।

খুলনায় সোনাডাঙ্গা সেন্ট জোন্স স্কুলের সামনে প্রতিবাদকারীরা বাংলাদেশের জন্য জরুরি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। যেখানে দেশের জ্বালানি নীতিতে নবায়নযোগ্য শক্তি, যেমন সৌর ও বায়ু শক্তির প্রতি স্থানান্তর অত্যন্ত জরুরি। যদিও বিশ্বব্যাংক প্রকাশ্যে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা উল্লেখ করেন যে এখনও রূপসা ৮০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো প্রকল্পে অর্থায়ন চালিয়ে যাচ্ছে।

তাদের মতে, এই ধরনের বিনিয়োগ বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট মোকাবিলার প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং বাংলাদেশের মতো দেশের দীর্ঘমেয়াদী জ্বালানি নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে।

প্রতিবাদকারীরা বিভিন্ন ব্যানার এবং প্ল্যাকার্ড বহন করেন। যা জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরশীলতার বিপদকে তুলে ধরেছে। তারা আসল সমাধানের দাবি করেন, অস্থায়ী প্রযুক্তি নয়, যেমন কার্বন ক্যাপচার ও স্টোরেজ (সিসিএস)।

ধ্রুব’র নির্বাহী পরিচালক রেখা মারিয়া বৈরাগী বলেন, যে প্রযুক্তিগুলি জলবায়ু সংকট তৈরি করেছে, সেগুলির মাধ্যমে এই সংকট সমাধান সম্ভব নয়। বিশ্বব্যাংককে সত্যিকার টেকসই নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ করতে হবে, যেমন বায়ু ও সৌর শক্তি।

অনুষ্ঠানের বক্তারা বিশ্বব্যাংকের জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পে বিনিয়োগের কড়া সমালোচনা করেন এবং এর অবিলম্বে নীতি পরিবর্তনের দাবি জানান। তারা নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগের পরিবেশগত সুবিধাগুলি ছাড়াও অর্থনৈতিক সুযোগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির সম্ভাবনাগুলি তুলে ধরেন, যা বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অনুষ্ঠানের শেষ দিকে বিশ্বব্যাংকের প্রতি দাবি জানানো হয়, যাতে তারা জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করে এবং সম্পূর্ণভাবে নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্পগুলিতে মনোনিবেশ করে।

এই স্থানীয় প্রতিবাদটি বিশ্বব্যাপী একটি বৃহত্তর আন্দোলনের প্রতিফলন, যেখানে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে জলবায়ু লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তাদের বিনিয়োগের দিকে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সম্মুখীন দেশগুলি থেকে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির প্রতি নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য দাবি ক্রমবর্ধমান।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on tumblr
Tumblr
Share on telegram
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ