
মিফতাহুল ইসলাম, পীরগঞ্জ (রংপুর): রংপুরের পীরগঞ্জে আবু সাঈদ এর কবর জিয়ারত ও পরিবারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন গণঅধিকারের পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
শুক্রবার বিকেলে কবর জিয়ারত শেষে বলেন, আমরা রংপুর সমাবেশে এসেছি। সমাবেশে আসার পূর্বে আমরা ২৪ এর যে গণঅভ্যুত্থান এই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম বীর আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেছি। তার পরিবারের সাথে কথা বলেছি। সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছি। আপনারা উপস্থিত ছিলেন। তার পরিবারের যে স্পিড, আমার রাজনীতি স্পিড একই। যে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি এই বাংলাদেশের যেন নতুন করে কেউ ফ্যাসিবাদ এবং স্বৈরাচার হয়ে না উঠতে পারে। জনগণ যেন একটা নিপীড়িত নির্যাতিত আওয়ামী লীগের মতো না হয়। আমরা সকলকে মিলে একটা সহনশীল রাজনৈতিক, সামাজিক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তরুণরা যে যুগে যুগে, কালে কালে যে জীবন দিচ্ছে আত্মত্যাগ করছে, তাদের আত্মত্যাগের সুফল পরবর্তী সময় আমরা লক্ষ্য করছি। তাই আমরা চাই যে গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী তরুনেরা সমাজ এবং রাষ্ট্রের নেতৃত্ব পর্যায়ে আসুক তরুণদের মাধ্যমে। আগামীর নতুন বাংলাদেশ পরিচালিত হোক তরুণদের যে সুস্থ চিন্তাভাবনা এবং দেশকে নিয়ে তাদের যে ভাবনা সেটা একটা প্রতিফলন রাষ্ট্র পরিচালিত রাজনীতি তরুণেরা যদি এগিয়ে না আসে আবু সাঈদের আত্মত্যাগ বৃথা হবে। গণধিকার পরিষদ তারুণ্যের দল। তরুণদের মাধ্যমেই তারা দেশ গঠন করতে চায়। অবহেলিত রংপুর বিশেষ করে আবু সাঈদ এর পরিবারের প্রত্যাশা ছিল যে এ অঞ্চলের আবু সাঈদের নামে যেন কোনো একটি প্রতিষ্ঠান করা হয়। যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষ সেবা পাবে, মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই আবু সাঈদ এর স্মৃতি অম্লান করে রাখার জন্য। আশাকরি সরকার সেই ধরনের পদক্ষেপ নেবে। পাশাপাশি গণঅধিকার পরিষদ পক্ষ থেকে আমরা আবু সাঈদের স্মৃতিকে উজ্জ্বল করে রাখার জন্য আবু সাঈদের নামটি মানুষের মাঝে যেন জ্বলজ্বল করে থাকে সেজন্য আমরাও একটা কিছু করব পরিবারের সাথে আলাপ-আলোচনা করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুন্নাসহ আরো অনেকে।