কাজী আল আমিন, বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের সাতগাঁও গ্রামে বিএডিসি কর্তৃক প্রদানের কৃষকের পানি সেচের মেশিন ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যবহার করার কারণে সাধারণ কৃষক ভোগান্তিতে পড়েছে।
গত ১০ নভেম্বর গ্রামের কৃষক মালিকসহ ১০ জন স্বাক্ষরিত উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করেন, চান্দুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ এম শামিউল হক চৌধুরী তার একক কর্তৃত্বে সরকারি বরাদ্দের সেচ মেশিন কৌশলে স্কিমের নিম্নভাগে তার নিচু জমিতে স্থাপন করায় উপরাংশে উচু জমিতে পানি আনতে অনেকই কষ্ট পোহাতে হয়। তার এই একক কর্তৃত্বে মানুষ অতিষ্ঠ। এমনকি নিজের আর্থিক সুবিধার কারনে বিভিন্ন বাহানায় সে সিজন শুরু হওয়ার ১ থেকে দেড় মাস পার হওয়ার পর মেশিন চালু করেন এবং পার্শ্ববর্তী যত সেচ মেশিন আছে তাদের থেকে অতিরিক্ত চার্জ কৃষক থেকে আদায় করেন। অতিরিক্ত চার্জ নিলেও সেটার কোনো রশিদ ব্যবহার করে না শুধু তার হাতের লিখিত ছোট টুকরা কাগজ ব্যবহার করেন। উক্ত টুকরা কাগজ কোনোভাবে কৃষক হারিয়ে ফেললে পরিশোধিত চার্জ ২/৩ বার বেশি আদায় করে থাকেন।
অভিযোগে আরোও উল্লেখ করেন, তার একক কর্তৃত্ব ও খারাপ আচরণের কারণে অনেকে জমি পতিত রেখেছে। আওয়ামী সরকারের আমলে তার এই বাজে আচরণের প্রতিবাদ করতে কেউ সাহস পায়নি বলে অভিযোগ করেন। বর্তমানে কৃষকরা তার একক কর্তৃত্ব থেকে রেহাই পেতে চান।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি মো: সাইফুল ইসলাম অভিযোগ প্রাপ্তি স্বীকারে বলেন, ৩ ডিসেম্বর উপজেলা সেচ কমিটির সভায় বিষয়টা উত্থাপন করা হবে। কৃষকের মধ্যে একজন উপস্থিত থাকতে বলেছেন।