যায়যায়কাল প্রতিদেক: বাংলাদেশে গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে; তাতে এ বছর মশাবাহিত এ রোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৫০৪ জন।
গত ১৬ অক্টোবর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছিল। ১৬ দিন পর সেই তালিকায় যুক্ত হল আরো একশ নাম।
বাংলাদেশে এক বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর এই সংখ্যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২৩ সালে ১৭০৫ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল ডেঙ্গু।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, যে ৭ জন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং খুলনা বিভাগীয় এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজন করে মোট ছয়জন এবং বরিশাল বিভাগীয় এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬২৯ জন। তাতে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩ হাজার ৬৮৫ জনে।
নতুন রোগীদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৪৩ জন, ঢাকা বিভাগে ১১৪ জন, ময়মনসিংহে ৩০ জন, চট্টগ্রামে ৫৪ জন, খুলনায় ৯২ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৮ জন, রংপুর বিভাগে ১২ জন, বরিশাল বিভাগে ৫৫ জন এবং সিলেট বিভাগে ১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৯০ হাজার ৬২২ জন রোগী। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২৫৫৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ১০১৪ জন; আর ১৫৪৫ ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি।
এ বছর মোট ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৫৬ হাজার ২৫০ জন ঢাকার বাইরের রোগী। ঢাকার দুই মহানগর এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৭ হাজার ৪৩৫ জন।
এ বছর সবচেয়ে বেশি ৩০ হাজার ৮৭৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছে অক্টোবর মাসে। সে মাসে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এক মাসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে নভেম্বরে, ১৭৩ জন। নভেম্বর মাসে ২৯ হাজার ৬৫২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ডিসেম্বরের প্রথম তিন দিনে ২ হাজার ২১৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।