মো. জিল্লুর রহমান লাকসাম (কুমিল্লা : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জুলাই বিপ্লবের বীর সেনানীদের সংবর্ধনা দিয়েছে লাকসাম-মনোহরগঞ্জের ছাত্র-জনতা।
এ উপলক্ষে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে কুমিল্লার লাকসাম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, ছাত্র আন্দোলেনর কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, কেন্দ্রীয় সদস্য রিফাত রশিদ, তরিকুল ইসলাম, নুসরাত তাবাসসুম, সিনথিয়া জাহিন আয়েশা, কুমিল্লা জর্জ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট বদিউল আলম সুজন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লাকসাম উপজেলা আমীর হাফেজ মো. জমিরুল ইসলাম, পৌরসভা আমীর মো. জয়নাল আবেদীন পাটোয়ারী, বিএনপি নেতা বেলাল রহমান মজুমদার প্রমূখ।
বক্তব্যে প্রধান অতিথি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ফ্যাসিবাদের জনক শেখ হাসিনার রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে, কুমিল্লা জেলার ছাত্ররা। যে জেলাকে নিয়ে শেখ হাসিনা সবচেয়ে ভয়ে থাকতো সে জেলাই হচ্ছে কুমিল্লা। কুমিল্লার সন্তানরা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে ভারতে পাঠিয়েছে। এই মাদার অব টেরর ভারতে গিয়ে এখন দেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদেরকে সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকবে হবে। ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে, আর কখনো যেন ফ্যাসিবাদ মাথাছাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে তার ক্রেডিট নিতে গিয়ে যেন আমরা দেশের স্বার্থে কোন ধরনের কম্প্রোমাইজ না করি, তা খেয়াল রাখতে হবে। যত বাধাই আসুক গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার ও রাজনীতির অধিকার ফিরে দেয়ার জন্য কেউ যদি আন্দোলনে নাও থাকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এসব অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন চালিয়ে যাবে। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া-রূপসা থেকে পাটুরিয়া এক ইঞ্চি জায়গাও ফ্যাসিবাদকে ছাড় দেয়া হবে না।
অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও আন্দোলনে নিহত লাকসাম- মনোহরগঞ্জের তিন শহীদ পরিবারকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে লাকসাম-মনোহরগঞ্জের সামাজিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মী সহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।