
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: রৌমারী উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালনায় শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় ৩নং বন্দবেড় ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডে উত্তর বন্দবেড় জামে মসজিদে সহজ কুরআন শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। উক্ত কেন্দ্রে হাফেজ মো. আবু তাহের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তিনি প্রায় ১ বছর পূর্বে মৃত্যুবরণ করায় তার এতিম সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তার স্ত্রী লাকী বেগমকে বিশেষ ব্যবস্থায় মডেল কেয়ারটেকার মো. মজিবর রহমানের সহযোগিতায় জাল সনদের মাধ্যমে বর্ণিত কেন্দ্রে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
লাকী বেগম নিয়োগ পাওয়ার পর মজিবর রহমানের সহযোগিতায় কেন্দ্রটি মসজিদ থেকে স্থানান্তর করে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। উক্ত লাকী বেগম পরবর্তীতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বড়াইকান্দি জামে মসজিদ-৮ এর সহজ কুরআন শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক তার ফুফা মো. রুহুল আমিন এর সাথে ২য় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ৩ অক্টোবর নন-জুডিসিয়াল স্টাম্পে অঙ্গীকার নামা দিয়ে এই এলাকা ছেড়ে তার ২য় স্বামীর বাড়ি দক্ষিণ খঞ্জনমারা গ্রামে চলে যান। তখন থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত কেন্দ্রটি বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মডেল কেয়ারটেকার মো. মজিবর রহমানকে জানানো হলে তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি বরং বন্ধ থাকা সময়ের বেতন উঠিয়ে উক্ত লাকী বেগমের সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। মজিবর রহমান ৬৫০০/- টাকা মাসিক বেতনভুক্ত কর্মচারী। কিন্তু তিনি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে শিক্ষকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নিতেন। জাল সনদ বানিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দিতেন। শিক্ষক নিয়োগের সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ও নেতাকর্মীদের টাকা দেয়ার কথা বলে চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিতেন। তার বাড়ি রৌমারী সদর হতে মাত্র ৪/৫ কি.মি. দূরে হওয়ার পরও তিনি সেখানে না থেকে রৌমারীর অভিজাত এলাকা কলেজ পাড়াতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। ছেলেকে রংপুরে লেখাপড়া করান। দুর্নীতি ছাড়া স্বল্প বেতনের একজন কর্মচারী এত টাকা পায় কোথায় তা সচেতন মহলের প্রশ্ন।
শিক্ষকদের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা নেয়ার বিষয়ে একাধিক শিক্ষক বিগত সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও আওয়ামী নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় তিনি পার পেয়ে গেছেন। এর আগেও একজন শিক্ষক ছাত্রীর সাথে খারাপ আচরণ করলে মজিবর রহমান ঐ শিক্ষকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি উত্তর বন্দবেড় জামে মসজিদের কেন্দ্রটি লাকী বেগমের বর্তমান স্বামীর এলাকা বাঞ্চছার চর জামে মসজিদে নেয়ার পাঁয়তারা করছেন যানাযায়।
ইসলামি ফাউন্ডেশনের উপজেলা মডেল কেয়ারটেকার মো.মজিবুর রহমান এর সাথে মোছা: লাকী আক্তারের বিয়য়ে কথা বলতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আপনারা ফিল্ড সুপার ভাইজারের সাথে কথা বলেন।
উপজেলা ফিল্ড সুপার ভাইজার মো. জালাল উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বন্দবেড় কেন্দ্র শিক্ষিকা লাকী আক্তারকে অভিযোগের কথা বললে তিনি বলেন, আগে কেন্দ্র আমার বাড়িতে ছিল। এখনো আছে। আমার পারিবারি সমস্যার কারণে কেন্দ্র আমি বাঞ্চছারচর নিয়েছি। আগামী ডিসেম্বর মাসে উত্তর বন্দবেড় কেন্দ্রটি শিক্ষক নিয়োগ দিবে।
তিনি আরো বলেন, আমি ৯ মাসের বিল উত্তোলন করেছি। বাকি বিল এখনো পাই নাই।