সাকিব আসলাম, ইবি: কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সুদূর কুমিল্লা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের সংগঠন বৃহত্তর কুমিল্লা ছাত্র কল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে চড়ুইভাতী ও গেট টুগেদার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মফিজ লেকে এই চড়ুইভাতি ও গেটটুগেদার অনুষ্ঠিত হয়। এসময় নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগতম জানানো হয় এবং পিলোপাসিং ও র্যাফেল ড্র বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
ফোরামের সভাপতি হাসানুল বান্না ওলির সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রকল্যাণ ফোরামের উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান এবং ৩ জেলার শতাধিক শিক্ষার্থীবৃন্দ।
সভাপতি হাসানুল বান্না বলেন, আমার ভিসি স্যার কুমিল্লায় পড়াশোনা করেছেন। প্রো-ভিসি স্যারের বাসা কুমিল্লা, ট্রেজারার স্যারের বাসা কুমিল্লা, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ও বর্তমান ডিন দুজনের বাসা কুমিল্লা এবং ডিনস কমিটির সভাপতি থিওলজি অনুষদের ডিনের বাসাও কুমিল্লা। আমার মনে হয় না ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এর আগে একসাথে কুমিল্লার এত নক্ষত্রকে একত্রে পেয়েছে। ইবিতে কুমিল্লার কৃতি সন্তানদের এমন অর্জন আমাদের গর্বিত করে। আমরা চেষ্টা করবো গুরুজনদের অর্জনের ধারা আমাদের মধ্যে দিয়েও অব্যাহত রাখতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কুমিল্লার ছেলেপেলে অত্যন্ত মেধাবী। আপনারা বাংলাদেশ সচিবালয়ে গেলে দেখতে পাবেন অধিকাংশই কুমিল্লার। আমি যখন ইন্টারমিডিয়েট পাশ করি তখন গ্রামে সচিবের সংখ্যা ছিল ৬০ জন। বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় কুষ্টিয়ায় লেখাপড়ার হার ইদানিং বেড়েছে কিন্তু আমাদের এলাকায় শিক্ষিতের হার ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ। আজকে এই আয়োজন দেখে আমি খুবই খুশি হয়েছি। আপনারা যদি ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন তাহলে নিজেদের মধ্যে আন্তরিকতা ও সম্প্রতির বন্ধন বৃদ্ধি পাবে।