বৃহস্পতিবার, ২৩শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

১০ টায় এসে ১ টায় স্কুল ছুটি দিয়ে চলে যান শিক্ষকরা

oplus_0

মোহাইমিনুল ইসলাম উলিপুর (কুড়িগ্রাম): শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ে চলার নির্দেশনা থাকলেও সেই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কুড়িগ্রামের উলিপুরের বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতেছে শিক্ষকদের সমন্বয় করা সময়ে । শিক্ষক কর্মচারীদের প্রতিদিন সকাল ৯টায় উপস্থিত হয়ে ৪ টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যালয়ে অবস্থান করার নিয়ম থাকলেও ১০ টায় এসে ১ টায় বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে চলে যান প্রত্যেক শিক্ষকরা। এতে শিক্ষার মান ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করতেছেন অভিভাবকরা।

সরেজমিন বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের মাটিয়াল আল মোজাদ্দেদিয়া দাখিল মাদ্রাসা, মাটিয়াল দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, কাজলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাজলডাঙ্গা ভেড়ামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উমানন্দ মধ্যপারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুর ২ টার দিকে গেলে বিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি শ্রেনিকক্ষ সহ মূলভবনে তালা লাগানো দেখা যায়। এবং বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক কর্মচারীদেরকে বিদ্যালয়ে দেখতে পাওয়া যায় নি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মুঠোফোনে ফোন দিয়ে বিদ্যালয় ছুটির কারন জানতে চাওয়া হলেও সে বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।
মাটিয়াল আল মোজাদ্দেদিয়া দাখিল মাদ্রাসার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ আইয়ুব আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বই স্বল্পতার কারনে আমরা যোহরের নামায আদায় করে মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে চলে যাই। আমি আজ মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে ব্যক্তিগত মিটিং আছি।
গণমাধ্যম কর্মীদের আসার কথা শুনে বাসা থেকে চলে আসেন ওই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আবু হোসেন আবু। তিনি উপস্থিত গনমাধ্যম কর্মীদের জানান, আমরা যোহরের নামায আদায় করে মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে চলে যাই। এই বিষয়ে শুধু অধ্যক্ষ না আমরা সকল শিক্ষক মিলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি ।
মাটিয়াল দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, বই না থাকায় আমি স্কুল ছুটি দিয়ে চলে আসছি। সবাই এভবেই স্কুল চালায় তাই আমিও চালাই। আর আজকে আমি বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে ব্যক্তি গত একটা মিটিং এ আছি।
উমানন্দ মধ্যপারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা চেষ্ঠা করেও পাওয়া যায় নি।
কাজলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন মুঠোফোনে বলেন, আমি ব্যক্তিগত কাজে ব্যাংকে এসেছি। বিদ্যালয়ে অন্য শিক্ষক না থাকার কারন এবং বিদ্যালয় ছুটি দেয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মুঠোফোন সংযোগটি কেটে দেন।
এসব বিষয়ে উক্ত ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইসাহাক আলী সরকার বলেন, প্রত্যেক শিক্ষককে ৯ টা থেকে ৪ টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যালয়ে অবস্থান করতে হবে। এই সময়ের আগে বিদ্যালয় ছুটি দিতে পারবেন না। বিদ্যালয় ছুটি দেয়ার বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই বলেন, নির্ধারীত সময়ের আগে বিদ্যালয় ছুটি দেয়ার কোন নিয়ম নেই। আমি প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বলে দিয়েছি যেনো ওনারা নির্ধারীত সময় পর্যন্ত বিদ্যালয়ে অবস্থান করেন।
Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ