
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা লাউর ফতেহপুর গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী ও লিটার আল মোহর অয়েল কোম্পানির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নজুকে একেক সময় একেক অপকৌশলে হয়রানি করছেন একটি চক্র।
তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, নামে বেনামে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আর্থিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এই চক্রটি।
এলাকার চিহ্নিত দুষ্কৃতিকারী কুচক্রী এই মহলটির হয়রানি ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে এবার ফুঁসে উঠেছে এলাকার সাধারণ মানুষ। তারা বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার লাউর ফতেহপুর বাজার সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশ ও পরে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এতে হাজার হাজার নারী পুরুষ যোগ দেন।
লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইমদাদুল হক ইদনের সভাপতিত্ব ও বিএনপি নেতা আতিকুল হক শিশুর সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন হাজী জহর মিয়া, মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, রহিস উদ্দিন, যুবদল নেতা আজিজুল হক আশিক, বিএনপি নেতা দুলাল মিয়া, মিজান মেম্বার, বানু মোল্লা, মোঃ কামাল, আবুল মিয়া, সাদেক সরকার, মহিলা নেত্রী নিলুফা আক্তার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা সাইফুল্লাহ, মো. মামুন সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এসময় বক্তারা বলেন, নজরুল ইসলাম নজু নবীনগর দক্ষিণ অঞ্চলের মধ্যে একজন নিবেদিত ও আন্তরিক মানুষ। তিনি ধর্ম বর্ণের ঊর্ধ্বে গিয়ে মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখছেন।
তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত না হয়েও নিজের অর্থে মানুষের উপকার করে আসছেন। বহু বেকার ছেলেকে সৌদি আরবে নিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। মসজিদ, মন্দির মাদ্রাসা অসহায় মানুষের চিকিৎসা, গরিব মেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থা সহ অগণিত মানব কল্যাণে নিবেদিতভাবে এগিয়ে যায় এটাই তার অপরাধ।
তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবে ব্যবসা করে তিনি আজ বিত্তশালী। একটি চক্র রাজনৈতিক পরিচয় কাজে লাগিয়ে তার সরলতার সুযোগ নিয়ে হয়রানি করছে। তাদের মূখোশ অচিরেই জনসমক্ষে তুলে ধরা হবে।
এ ব্যাপারে সৌদি আরবের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম নজু মুঠোফোনে বলেন, আমি কেমন মানুষ এলাকাবাসী প্রমাণ করবে। মামলা হামলা করে আমাকে বারবার হয়রানি করা হচ্ছে। আমাকে আওয়ামী লীগের দোসর বানিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়া হচ্ছে। অথচ আমার রাজনীতি করার সুযোগ, সময় কোনটাই ছিল না। চক্রটির কাজই হচ্ছে মানুষের সাথে প্রতারণা করা। এরাই আমাকে একবার হত্যা মামলায় আসামি করে, দুদকে অভিযোগ সবই এদের কাজ। অথচ এখন পর্যন্ত আমি কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত না। তবুও ওরা এসব করে যাচ্ছে। অচিরেই তাদের আসল রূপ জনসম্মুখে প্রকাশ পাবে বলে আমি মনে করি।
উল্লেখ্য ৫ আগস্ট ক্ষমতার পরিবর্তনের পর নবীনগরে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় একটি চক্র উপজেলার বিভিন্ন বিত্তশালী ব্যক্তিদের বিভিন্ন হত্যা ও নাশকতার মামলায় আসামি করে কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এদের অপতৎপরতা অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ।