বৃহস্পতিবার, ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিবগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ

মিনহাজ আলী, শিবগঞ্জ (বগুড়া): বগুড়ার শিবগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে ফাতেমা নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের রহবল পাতালিয়াপাড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ফাতেমা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৯ বছর আগে উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের রহবল পাতালিয়াপাড়া গ্রামের চুন্নু মিয়ার ছেলে গোলাম রব্বানীর সাথে একই ইউনিয়নের রহবল ফকিরপাড়া গ্রামের ফরিদুল ইসলামের মেয়ে ফাতেমার বিবাহ হয়। সাংসারিক জীবনে তাদের ঘরে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। তারপর থেকে গোলাম রব্বানী ফাতেমাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে।

গত দুই বছর আগে গোলাম রব্বানী বিদেশে চলে যান। একপর্যায়ে ফাতেমার স্বামী গোলাম রব্বানীসহ শ্বশুর চুন্নু মিয়া, শাশুড়ী উম্মেহানি, দাদাশ্বশুর কাদের মোল্লা যৌতুকের দাবিতে ফাতেমাকে অত্যাচার করতে থাকে। যৌতুকের দাবিতে এমন নির্যাতনের কথা ফাতেমা তার পরিবারকে জানান। পরে মেয়ের ভালো থাকার কথা ভেবে জামাই গোলাম রব্বানীকে ৮০ হাজার টাকা দেন ফাতেমার পরিবার। এতে কিছুদিন ভালো থাকার পরে গত ১৭ ফেব্রুয়ারী ফাতেমাকে আবার ১ লক্ষ টাকা নিয়ে আসতে বলেন। এতে রাজি না হলে তারা ফাতেমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং ক্ষিপ্ত হয়ে মারপিট করেন। একপর্যায়ে ফাতেমাকে তারা বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং বলে যে, বাবার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসলে আমাদের বাড়িতে বসবাস করতে পারবে। পরে ফাতেমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন তারা।

এদিকে গত মঙ্গলবার বিকেলে স্ত্রীর অধিকারের দাবিতে স্বামীর বাড়িতে আসেন ফাতেমা। এসময় বাড়ির গেটে তালা লাগানো থাকলে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করেন সেখানে। পরে কারো সাড়া না পেলে তালা ভেঙে বাড়িতে প্রবেশ করেন ফাতেমা।

ফাতেমার মা লুৎফুন বেগম জানান, যেহেতু আমার মেয়েকে ডিভোর্স দেয়া হয়নি, সেহেতু স্বামীর বাড়িতে প্রবেশ করা তার অধিকার আছে। যদি আমার মেয়েকে না নেয় তাহলে ডিভোর্স দেক।

অভিযুক্ত চুন্নু মিয়া জানান, আমাদের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওনারা ৮০ হাজার টাকা খুশি মনে দিয়েছেন। আমরা যৌতুকের জন্য কোনো দাবি করিনি। আমার ছেলের বউ পার্শ্ববর্তী বাড়ির এক ছেলের সাথে সম্পর্ক করে বের হয়ে গিয়েছে। আমার ছেলে তাকে আর নেবে না।

মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সারওয়ার পারভেজ জানান, এ বিষয়ে উভয় পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *