
কাইয়ুম মাহমুদ, স্টাফ রিপোর্টার: উত্তর বঙ্গের প্রবেশদ্বার হাটিকুমরুল চত্বরটি উওর বঙ্গের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রবেশ পথ এই হাটিকুমরুল। হাইওয়ে হাটিকুমরুল গোলচত্বরটি প্রধানত ২২ জেলার প্রধান রুট ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান ।
প্রতি বছর এই হাটিকুমরুল মহাসড়কে ঈদকে ঘিরে সৃষ্টি হয় বিপুল পরিমাণের যানযট, তাই এই যানযট নিরসন করতে বগুড়া রিজিওন হাইওয়ের প্রায় ৫০০ পুলিশ সদস্য নিযুক্ত থাকবে বলে যানান বগুড়া রিজিওন হাইওয়ে পুলিশ সুপার শহীদ -উল্লাহ।
এই ইদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষকে নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে ঘরে পৌছাতে পারে সে বিষয়ে মহাসড়ক নিরাপদ ও যানযট মুক্ত রাখতে হাটিকুমরুল হাইওয়ে পুলিশ সর্বোচ্চ ভুমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন বগুড়া রিজিওনের হাইওয়ে পুলিশ সুপার।
সিরাজগঞ্জের ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে ঈদযাত্রায় যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কে ঈদের ১০দিন আগে মহাসড়কে নির্মিত ১১টি উড়াল সেতুর মধ্যে ৯টি ও হাটিকুমরুল ইন্টারচেঞ্জের সার্ভিস সড়ক খুলে দেওয়া হবে।এছাড়াও ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের চার লেন চালু হওয়ায় সুফল পাবে ঘরমুখী মানুষ।বিগত সময়ে তীব্র যানজট দেখা গেলেও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য ঈদযাত্রা ভোগান্তিমুক্ত ও স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশা করছে হাইওয়ে পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,স্বাভাবিক সময়ে যমুনা সেতু হয়ে প্রতিদিন উত্তরের ১৬টি ও দক্ষিণের ৫টি জেলার প্রায় ১৫ থেকে ১৬ হাজার যানবাহন পারাপার হয়।
ঈদ আসলেই যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এতে বিপুল সংখ্যক গাড়ি একসঙ্গে সেতু পার হতে গিয়ে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। ফলে ভোগান্তির শিকার হয়ে পড়ে ঘুরমুখো মানুষের। সাধারণ মানুষ যেন স্বস্তিতে ঈদযাত্রা করতে পারে সে লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানাবিধ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উদ্যোগগুলো হচ্ছে, হাইওয়ে পুলিশ,ট্রাফিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা, যানজট নজরদারিতে সিসি ক্যামেরা ও ড্রোনের ব্যবহার, ফিটনেসবিহীন ও লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি মহাসড়কে চলতে বাধা দেওয়ার ফলে বিগত বছরের ঈদযাত্রার মতো অসহনীয় যানজট এবার দেখা যাবে না।
একারণে আসন্ন ঈদুল ফিতরে উত্তরের ঘরমুখী মানুষের ঈদযাত্রা এক দশকের মধ্যে এবারই হবে সবচেয়ে আরাম দায়ক ও স্বস্তির।
যানজট এড়াতে প্রস্তুতির কথা জানিয়ে যমুনা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল হক পাভেল বলেন,সেতুতে যানজট এড়াতে উভয় পাশে ১৮টি টোল বুথ থাকবে। যার মধ্যে মোটরসাইকেলের জন্য ব্যবহৃত হবে চারটি।
আহসানুল হক পাভেল আরও বলেন, সেতুর ওপর কোনো গাড়ি বিকল ও দুর্ঘটনা কবলিত হলে ঘটনাস্থলে রেকার নিয়ে যেতেই বেশ সময় লাগে। এজন্য সেতুর সংযোগ সড়কের দুই পাশে দুটি রেকার ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি থাকবে। সবমিলিয়ে এবার উত্তরের ঘরমুখো মানুষ স্বস্তি নিয়ে পরিবারের কাছে ফিরবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে বগুড়া রিজিওনের হাইওয়ে পুলিশ সুপার শহীদ -উল্লাহ বলেন,এই ঈদে নিরাপদ নির্বিঘ্নে এবার উত্তরের ঈদ যাত্রা হবে স্বস্তির ঈদ যাত্রা নিরাপদ নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরবেন ঘর মুখো মানুষ।