শনিবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

হাইকোর্টের রায় অমান্য করে গোসাইপুর খেয়াঘাট পরিচালনা

এম, নুরুল আলম সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: জেলার নবীনগর উপজেলার গোসাইপুর খেয়াঘাটের নিয়ম অনুযায়ী ১৪৩২ বাংলা সনের জন্য খেয়াঘাট ইজারা প্রদানের জন্য দরপত্র আহ্বান করে নবীনগর উপজেলা প্রশাসন।

উক্ত খেয়াঘাট ইজারা পাওয়ার নিমিত্তে সর্বোচ্চ ইজারা মূল্য নির্ধারণপূর্বক প্রস্তাবিত দরের ৩০ শতাংশ হারে দুই লাখ টাকা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা প্রদান করে দরপত্র দাখিল করে শরীফ মিয়া। তিনি সর্বোচ্চ দরদাতা হওয়া সত্ত্বেও অন্য কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গোসাইপুর খেয়াঘাটের ১৪৩২ বাংলা সনের ইজারাদার নির্ধারণপূর্বক গত ৯ মার্চ স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে প্রসারিত দরের ৩০ শতাংশ হারে এক লাখ ৮০ হাজার ৩শ’ টাকা জামানত প্রদান করা মকবুল হোসেনকে ইজারা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্ৰহণ করা হয়।

উক্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করে দায়ের করেন শরীফ মিয়া। যার নম্বর ৬০০৫/২০২৫। হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ গত ২৪ মার্চ শুনানিতে মকবুল হোসেনের প্রতি রোল জারি পূর্বক গোসাইপুর খেয়াঘাটের বাস্তবিক দখলে শরীফ মিয়া ও মকবুল হোসেনের স্থিতিশীল বজায় রাখার আদেশ প্রদান করেন। এবং ৩০ দিনের মধ্যে আপিলটি নিষ্পত্তির আদেশ প্রদান করেন। কিন্তু মকবুল হোসেন হাইকোর্টের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে জোর করে খেয়াঘাট দখল করে নেন। এখন পর্যন্ত খেয়াঘাট তার দখলে রয়েছে। অন্যদিকে শরীফ মিয়া খেয়াঘাটে গেলে মকবুল হোসেন ও তার লোকজন শরীফ মিয়াকে মারধর করতে আসে এবং তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

এই বিষয়ে শরীফ মিয়া বাদী হয়ে নবীনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, খেয়াঘাটের ইজারা পাওয়াকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। তাই এলাবাসী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা নবীনগর উপজেলা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন হাইকোর্টের রায়ের আলোকে ইজারাদারের প্রতি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হোক।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ