শুক্রবার, ৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

আমরা ভুলের ঊর্ধ্বে নই: জামায়াত আমির

যায়যায়কাল প্রতিবেদক: জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘দল হিসেবে দাবি করি না, আমরা ভুলের ঊর্ধ্বে। প্রতিটি কর্মী বা দলের কারণে যে যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সবার কাছে বিনা শর্তে মাফ চাই। আপনারা আমাদের ক্ষমা করে দেবেন। আমাদের কোনো আচরণে, কোনো পারফরমেন্সে কষ্ট পেয়ে থাকলেও ক্ষমা করে দেবেন।’

মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের আমির এসব কথা বলেন।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দলটি।

শফিকুর রহমান বলেন, এই রায়ে প্রমাণিত হয়েছে, সত্যকে চেপে রাখা যায় না, সত্য মেঘের আড়াল ভেদ করে আলোর ঝলক নিয়ে আসে।

জামায়াতের আমির বলেন, জাতির অনেকগুলো বার্নিং ইস্যু এখনো আনরিসলভড। এখানেও সব রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট অংশীজন জনগণের স্বার্থকে যেন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা কথা দিচ্ছি, আল্লাহর একান্ত ইচ্ছায়, দেশবাসীর সমর্থন পেয়ে দেশের সেবা করার দায়িত্ব পেলে প্রতিশোধের রাজনীতি ও বৈষম্যের রাজনীতির অবসান ঘটাব। সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করব।’

জামায়াত আমির বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলে আমরা ভয়ংকর জুলুমের শিকার হয়েছি। আমাদের ১১ জন শীর্ষ নেতাকে মিথ্যা মামলায় সাজানো, পাতানো আদালত এবং মিথ্যা সাক্ষ্যের মাধ্যমে কার্যত জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে।’

শফিকুর রহমান বলেন, এটিএম আজহারের রায় সুবিচার হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এ মামলাগুলো পরিচালনা করতে গিয়ে সীমাহীন জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা তার বইয়ে এটা স্বীকার করেছেন, কীভাবে বিচার বিভাগ ও সরকার মিলে বিচার নয়, বরং ঠান্ডা মাথায় খুন করার ছক আঁকা হয়েছে। একটি পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে, যেন কেউ প্রতিবাদ করতে না পারেন।

জামায়াত আমির বলেন, একেকটা রায়ের পর পরিবারের সদস্যদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। এতে পরিবারগুলো ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে গেছে।

শফিকুর রহমান বলেন, এই মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল কাস্টমারি ল’ কিংবা ‘ডমেস্টিক কাস্টমারি ল’ অনুসরণ করা হয়নি। সেদিন সংবিধান বা আইন কোনো বিষয় ছিল না। যাঁদের ইশারায় কোর্ট পরিচালনা হতো, তাঁদের ইচ্ছাই এখানে মুখ্য ছিলো। সেটি বৈধ হোক কিংবা অবৈধ।

জামায়াত আমির বলেন, ব্রিটেনের উচ্চ আদালত তাদের রায়ে বলেছেন, এই মামলাগুলো ছিল বিচারের নামে ‘জেনোসাইড অব দ্য জাস্টিস’। বিচারকে গণহত্যা করা হয়েছে। তারা ‘কিলিং অব দ্য জাস্টিস’ বলেনি। কারণ, সিঙ্গেল কেস হলে কিলিং বলতেন। এখানে ছিল একাধিক কেস। বাংলাদেশের আদালত আজ তাদের রায়ে বলেছেন, ‘মিসকারেজ অব দ্য জাস্টিস’। এটা নেতৃত্ব গণহত্যা ছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো, দলকে নেতৃত্ব শূণ্য করা। তবে তারা (জামায়াত) প্রতিশোধ নেননি, তারা ন্যায়বিচার চেয়েছেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *