
বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার সাজাপুর এলাকায় অবস্থিত আকিজ গ্যাস স্টেশন লিমিটেড-এ সিএনজি সরবরাহের নামে অবৈধভাবে গ্যাস বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি জানার পরও পেট্রো বাংলা বগুড়ার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা রহস্যজনকভাবে প্রথমে নিরব ভূমিকা পালন করলেও গতকাল শোকজ নোটিশ পাঠানোর কথা বলে তারা।
সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২:৩০টা যায়যায়কালের একটি অনুসন্ধানী টিম আকিজ গ্যাস স্টেশনে গেলে দেখা যায়, চট্টগ্রাম মেট্রো ট-১১-৫৫১৬ নম্বরের একটি কার্গো ট্রাকের ভেতর প্রায় ১০০টিরও বেশি গ্যাস সিলিন্ডার অবৈধভাবে গ্যাস ভরা হচ্ছে।
- রাতের আঁধারে অবৈধ গ্যাস সরবরাহ
- সংবাদ সংগ্রহে বাধাদান ও হেনস্থা
- হামলা ও ম্যানেজ করার চেষ্টা
- নিরব ভূমিকায় পেট্রো বাংলার কর্মকর্তারা
অনুসন্ধান টিমের উপস্থিতি টের পেয়েই গ্যাস পাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত সজল নামের এক ব্যক্তি টিমের সদস্যদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন এবং ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলে কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি পুলিশ টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে এর আগেই অবৈধ গ্যাস সংগ্রহে আসা ট্রাকটি পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে অভিযুক্ত ব্যক্তি সজল অনুসন্ধানী টিমকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন এবং স্থানীয় কিছু সাংবাদিককে ব্যবহার করে ফোনালাপের মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালান। এ সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত সজল অনুসন্ধানী টিমকে ১০ হাজার টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেন।
এরপর ২ জুন সোমবার দুপুর এক স্থানীয় সাংবাদিকের মাধ্যমে আকিজ গ্যাস স্টেশনের দায়িত্বশীলরা এই প্রতিবেদক কে ফোন করেন এবং হুমকিসহ বিভিন্ন কৌশলে প্রতিবেদন প্রকাশ ঠেকানোর চেষ্টা চালান।
এ বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানী লিমিটেড এর, বগুড়া নর্থ রিজিওনাল অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন বলেন,”সিএনজি স্টেশনের গ্যাস শুধুমাত্র গ্যাসচালিত যানবাহনে সরবরাহ করার অনুমোদন রয়েছে। এর বাইরে যদি অন্য কোনো মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করা হয়, সেটি সম্পূর্ণভাবে আইন লঙ্ঘন। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি, প্রমাণ মিললে সংশ্লিষ্ট গ্যাস স্টেশনের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন, পেট্রো বাংলা এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করছে সচেতন মহল।