
মো. নাজমুল ইসলাম, নেত্রকোনা: নেত্রকোনার মদন উপজেলার চানগাঁও ইউনিয়নের হাঁসকুড়ি গ্রামে জমি ও পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় নারীসহ অন্তত চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে ২৭ জুন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে। অভিযোগকারী ইমরুল হাসান জানান, তার ভাতিজা মাসুম মিয়া (১৪)–এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিবাদী আইনাল হক প্রথমে তাকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা করেন। কোনোমতে রক্ষা পেয়ে এলাকা ছেড়ে গেলে এরপর থেকেই তাদের পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল অভিযুক্তরা।
ঘটনার দিন পূর্বপরিকল্পিতভাবে রামদা, বল্লম, লাঠিসোটা ও ইট-পাটকেলসহ প্রায় ১৪ জনের একটি দল ইমরুল হাসানের বসতবাড়িতে হামলা চালায়। হামলায় ইমরুলের মাথা ও হাতে গুরুতর জখম করা হয়। তার ভাই মামুন মিয়া এবং মা শামসুন্নাহারকেও নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করা হয়। শামসুন্নাহারের মাথায় রামদার আঘাত এবং মুখে ইটের আঘাতে দাঁত ভেঙে যায়, তিনি ঘটনাস্থলেই অচেতন হয়ে পড়েন।
এছাড়া ইমরুলের ছোট বোনের গলা থেকে আনুমানিক দুই লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ঘরের সুকেস ভেঙে গরু বিক্রির এক লাখ পঁচাত্তর হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও প্রায় ৫০ হাজার টাকার সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগও উঠেছে।
হামলার পর স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। বর্তমানে আহতদের মধ্যে অন্তত তিনজন চিকিৎসাধীন আছেন।
এ বিষয়ে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, “ঘটনার পর উভয় পক্ষ থেকেই থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।”












