মঙ্গলবার, ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

সফলতা আসবেই, শুধু চেষ্টা করো” : বিসিএস প্রথম ফরহাদ হোসেন

সমাপ্তী খান, ‎মাভাবিপ্রবি: মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের টেক্সটাইল ক্লাবের উদ্যোগে ‘ক্যারিয়ার গাইডলাইন’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সেমিনার কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
‎‎এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল আজীম আখন্দ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ক্লাবের উপদেষ্টা ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
পাশাপাশি ‎বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ ফজলুল করিম উপস্থিত ছিলেন।  সেমিনারে মুখ্য আলোচনা উপস্থাপন করেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ৪৪তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জনকারী ফরহাদ হোসেন। এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সভাপতি সাকিব হোসেন খান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল আজীম আখন্দ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “শিক্ষাজীবন শেষে যারা দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে প্রবেশ করবে, তাদের মধ্যে সর্বপ্রথম দেশপ্রেম থাকতে হবে। এরপর দায়িত্ব পালনে ধৈর্য, সততা, নিষ্ঠা ও বিচক্ষণতা থাকা আবশ্যক।” শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণার জন্য তিনি তাঁর বক্তৃতায় বাস্তব জীবনের কিছু উদাহরণ তুলে ধরেন।
 ফরহাদ হোসেন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় জীবন মানেই শুধু ডিগ্রি অর্জন নয়, বরং এটি ভবিষ্যৎ জীবনের ভিত গড়ে তোলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়ে একাডেমিক পড়াশোনার প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। নিজের বিভাগকে ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পড়াশোনা করা প্রয়োজন। কারণ, একাডেমিক জ্ঞান জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজে লাগে—আপনি যেই পেশাতেই যান না কেন।
‎মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা আজ দেশের প্রতিটি প্রান্তে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত। এটাই প্রমাণ করে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান কতটা দৃঢ়। তাই প্রত্যেক শিক্ষার্থীর উচিত বিসিএসসহ অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি চাকরির পরীক্ষায় অংশ নেওয়া। চেষ্টা করলে সফলতা আসবেই।
‎আমি নিজেও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে গানে অংশ নিয়েছি, গান-বাজনা করেছি। জুনিয়র-সিনিয়র সবার সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রেখেছি। আসলে, সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা ও একতাবদ্ধ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ভাইভা বোর্ডসহ বিভিন্ন জায়গায় এই সামাজিক দক্ষতা অনেক কাজে আসে।
‎বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করাও জরুরি। ইংরেজি পত্রিকা পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এতে করে ইংরেজির প্রতি ভয় কেটে যাবে এবং চাকরির প্রস্তুতিতেও সুবিধা হবে। পাশাপাশি, টিউশন করানো একটি ভালো অভ্যাস—এটি যেমন আর্থিকভাবে সাহায্য করে, তেমনি গণিত ও অন্যান্য বিষয়ের প্রতি এক ধরনের প্রস্তুতি তৈরি হয়। আমার নিজের ক্ষেত্রেও টিউশনের অভিজ্ঞতা বিসিএস প্রস্তুতিতে গণিত অংশে আলাদাভাবে পড়ার প্রয়োজন কমিয়ে দিয়েছিল।
‎আমি ২০২০ সাল থেকে বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি শুরু করি। জীবনে হতাশ হওয়ার সুযোগ নেই। ব্যর্থতা আসতেই পারে, কিন্তু তা থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। সুখের কোনো নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই—তুমি যেখানে আছো, যদি তাতে সন্তুষ্ট থাকো, সেটাই আসল সুখ। আমার বিসিএস হওয়ার পেছনে (বর্তমানে স্ত্রী) প্রেমিকার অনুপ্রেরণা রয়েছে।”
‎অনুষ্ঠানের শেষে ফরহাদ হোসেনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় প্রধান অতিথি তাঁর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ