মঙ্গলবার, ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

সবুজের মাঝে হাসছে শাপলা

কাইয়ুম মাহমুদ: চারিদিকে সবুজ আর সবুজ তার মাঝখানে চোখ জুড়ানো দাদা শাপলা ফুল সমারোহ। পানির উপর ফুটে থাকা দাদা শাপলা ফুলের অপরুপ সুন্দর্য যে কেউকে মুগ্ধ করবে। চোখে না দেখলে নজরকাড়া সৌন্দর্যের উপলব্ধি করা যাবে না।

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের গাঁড়া বিলেটি আগে থেকেই গাড়া বিল নামেই পরিচিত হলেও সেখানকার সুন্দর্যের কারনে পর্যটকরা গাড়ী লেক নাম দিয়েছেন।

এই গাড়া বিলে ফুটেছে চোখে লাগার মতো দাদ শাপলা ফুল। দূর থেকে দেখা মাত্র মুখ থেকে বেরিয়ে আসবে ‘বাহ কি সুন্দর’।তখন মনের অজান্তেই গুনগুনিয়ে উঠবেন।

সাদা শাপলা যে কারণে জাতীয় ফুল
বাংলাদেশ আমাদের প্রিয় জন্মভূমি। দেশ সর্ম্পকে তোমাদের জানতে হবে, এ দেশের জাতীয় ফুল-ফল, পশু-পাখি ও নদ-নদী সর্ম্পকে ধারণা রাখতে হবে। আমরা সবাই ফুল ভালোবাসি।

জাতীয় ফুল শাপলা নিয়ে আলোচনা করব। এটা তোমরা সবাই জানো যে, সাদা শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় ফুল। যার ইংরেজি নাম ‘ওয়াটার লিলি’। শাপলা এক ধরনের জলজ উদ্ভদি।

শাপলাকে কনে জাতীয় ফুল হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তোমরা কি তা জান? সাদা শাপলা হলো বাংলাদেশের জনগণের প্রতীক। এটা বিশ্বাস করা হয় যে শাপলার সাদা রং আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে আর পাপড়িগুলোর মতো দেশের মানুষকে একত্রিত করে।

তাই শাপলা ফুল অনেক রঙের হলেও কেবল সাদা শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় ফুলের মর্যাদা পেয়েছে। বাংলাদেশের পয়সা, টাকা ও দলিলপত্রে জাতীয় ফুল শাপলা বা এর জলছাপ আঁকা থাকে।

আরেকটি কারণ হলো, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। তাই সারা দেশে শাপলা পাওয়া যায়। দেশের আনাচে-কানাচে নদী, খাল-বিল, হাওড়-বাওড় ও পুকুর-ডোবা ছড়িয়ে আছে। আর এখানে সারা বছর প্রচুর শাপলা ফোটে।

শাপলা ফুল শ্রীলঙ্কারও জাতীয় ফুল। তবে সাদা নয়, নীল শাপলা। শ্রীলঙ্কায় এই ফুল ‘নীল মাহানেল’ নামে পরিচিত। শ্রীলঙ্কার ভাষায় নীল থেকে এ ফুলকে ইংরেজিতে অনেক সময় ‘ব্লু লোটাস’ বলা হয়।

সারা বিশ্বে ৫০ প্রজাতরি শাপলা আছে, কিন্তু বাংলাদেশে মাত্র ২ প্রজাতির শাপলা জন্মে। সাদা ও লাল রঙের শাপলা। একটা রক্তকমল প্রজাতির আর অন্যটা হলো শালুক প্রজাতির। শাপলার শেকড় পানির নিচে থাকে আর ফুল ডাটা দিয়ে পানির উপর ফুটে থাকে।

গাড়া বিলে গেলে চারিদিক থেকে ভেসে আসে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কোলাহোল। হাটার মধ্যে ভেসে আশা মৃদু বাসাত বেশ ভালোই লাগে, এছাড়াও রয়েছে দেশী প্রজাতির হরেক রকমের মাছের আনাগোনা। এটি আশেপাশের পরিবেশকে মনোমুগ্ধকর করে তুলেছে।

স্থানীয়রা জানান, এখানের সুন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। ভোর বেলা এই স্থানের সুর্য্য ফুটে ঠিক যেন বিলের পানিতে পরে যা প্রকৃতি প্রেমিদের মনে উষ্ণতা ও ভালোবাসার শিহরণ যোগায় ভোরের আলো, অপরুপ সুন্দযের মধ্যে দাদা শাপলার রাজত্ব যোনো এই গাড়া বিলে, যার সুন্দর্য প্রকৃতি প্রেমিদের মুগ্ধ করে ।

ফুলগুলো প্রায় পাঁচ থেকে সাত দিন পানির উপর ভেসে থাকে। এর পাতাগুলো দেখতে গোলাকার ও সবুজ রঙের। সবুজ পাতায় সাদা লাল শাপলা দেখতে অর্পূব লাগে।

উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, বাংলাদেশে সারা বছর শাপলা কম বেশি সব জায়গায়ই হয়। তবে বেশি হয় র্বষা আর শরৎকালে। শাপলা গ্রামের মানুষ সবজি হিসেবে খেতে খুব পছন্দ করে। আর এ ফুলের বীজ ও গুড়ো দিয়ে খই বানানো হয়।

শাপলা ভাজি করে খেতে খুব মজা। এতে পুষ্টিগুণও আছে। জলজ সবুজ ডাটায় আছে ভিটামিন, খনিজ ও আঁশ।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ