
মো. রমিজ আলী, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে নিজ কর্মস্থলে মৃত্যুর পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কোন ধরনের ক্ষতিপূরণ কিংবা সহযোগিতা পাননি নিহত সোলাইমানের পরিবার!
গত ২৩ এপ্রিল ভাটিয়ারী’ উত্তর বাজার এলাকার নজির সওদাগর বাড়ির জহুর আহমদের ছেলে প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোলাইমান নিজ কর্মস্থল রয়েল সিমেন্ট ফ্যাক্টরির ভেতর, কে এস আরএম এর মালবোঝাই লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হন।
কিন্তু মৃত্যুর পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও কোন ধরনের ক্ষতিপূরণ কিংবা এই বিষয়ে কোন উদ্যোগ নেই নি কে এস আরএম এবং রয়েল সিমেন্ট কতৃপক্ষ!
চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নে পাশাপাশি অবস্থিত রয়েল সিমেন্ট ও কে এস আরএম ফ্যাক্টরি। রয়েল সিমেন্ট কোম্পানিতে প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন মোহাম্মদ সোলাইমান।
নিহত সোলাইমানের পরিবারের দাবি পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কোম্পানির পক্ষ থেকে কোন ধরনের সহযোগিতা, সৌজন্যবোধ, যোগাযোগ ও সহানুভূতি দেখায়নি কোম্পানির মালিক পক্ষ।
নিহত প্রকৌশলী সোলাইমানের পরিবার আরো বলেন,
আমার ভাই মরহুম প্রকৌশলী মুহাম্মদ সোলাইমান মারা যাওয়ার আজ পাঁচ মাস হলো! কিন্তু কে এস আর এম কোম্পানি এখনো আমাদের নানা অজুহাতে হয়রানি করছে, উপযুক্ত ক্ষতি পূরণ না দিয়ে উল্টো আমার বৃদ্ধ মা বাবাকে নানানভাবে চাপ সৃষ্টি করছে।
মৃত প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোলাইমানের ভাই সেকান্দর বলেন, আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান, আমার বাবা অনেক কষ্ট করে ছোট একটি চাকরি করে আমাদের পড়ালেখা করিয়েছেন, আমার ভাইকে অনেক কষ্ট প্রকৌশলী বানিয়েছেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় আমার বাবা এখন আমার ভাইয়ের অপেক্ষায় বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকে, বলতে পারেন মানসিক ভারসাম্যহীন। তাই এই বৃদ্ধ বাবার কথা বিবেচনা করে আমার ভাই প্রকৌশলী সোলাইমানের ক্ষতি-পূরণ এবং তার পরিবারের পাশে থাকার আহবান জানান।