সোমবার, ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১৩ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

অসহায় পরিবারের পাশে মামুন বিশ্বাস, ফেসবুকের কল্যাণে পেলেন সহায়তা

filter: 0; fileterIntensity: 0.0; filterMask: 0; brp_mask:0; brp_del_th:null; brp_del_sen:null; delta:null; module: portrait;hw-remosaic: false;touch: (-1.0, -1.0);sceneMode: 8;cct_value: 0;AI_Scene: (-1, -1);aec_lux: 0.0;aec_lux_index: 0;HdrStatus: auto;albedo: ;confidence: ;motionLevel: -1;weatherinfo: null;temperature: 44;

কাজল দাস, রায়গঞ্জ: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার আটঘোরিয়া গ্রামের বাসিন্দা জোসনা বেগম। অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনোমতে সংসার চালান তিনি। নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া একমাত্র মেয়ে সুমাইয়া খাতুনকে নিয়েই তার জীবন। কন্যাসন্তান জন্মের এক বছর পর স্বামী অন্যত্র চলে গেলে স্বামী-পরিত্যক্তা হয়ে মানবেতর জীবন কাটাতে থাকেন মা ও মেয়ে।

আধুনিক যুগেও টিউবওয়েল, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় তাদের বসবাসের বিষয়টি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক কাজল দাস তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করলে তা আলোচনায় আসে।

বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অসহায় এই পরিবারটির পাশে দাঁড়ান সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস। তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে জনসাধারণের কাছ থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা সহায়তা সংগ্রহ করেন। পরে ওই অর্থ দিয়ে দুটি ছাগল, সেলাই মেশিন, চাল, ডাল, তেল, মাছ, মুরগিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে দেন। পাশাপাশি নগদ সাড়ে দশ হাজার টাকা ও একটি পাকা টিউবয়েল তুলে দেন জোসনা বেগমের হাতে।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে সহায়তাগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস।

সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস বলেন, “মানবতার টানে ছুটে চলি। ফেসবুকের মাধ্যমে সমাজের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করি। হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষের জন্য কিছু করতে পারলেই আমার ভালো লাগে। এই সহায়তা আসলে আমার ফেসবুক বন্ধুদের পক্ষ থেকে সামান্য উপহার।”

জোসনা বেগম বলেন, “আল্লাহ ছাড়া আমাদের আর কেউ নেই। মামুন বিশ্বাস আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তার জন্য দোয়া করি। যারা তার মাধ্যমে আমাদের সহায়তা দিয়েছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞ।”

আবেগাপ্লুত হয়ে শিক্ষার্থী সুমাইয়া খাতুন বলেন, “আমার লেখাপড়া করা অনেক কষ্ট ছিল। বই-খাতা কিনতে পারতাম না, পায়ে হেঁটে বিদ্যালয়ে যেতাম। বাবা থেকেও না থাকায় মায়ের কাছে চাইতে লজ্জা হতো। এখন আমরা দুটি ছাগল, বাজার সামগ্রী, টিউবওয়েল, নগদ সাড়ে ১০ হাজার টাকা পেয়েছি। মামুন বিশ্বাস মামা আমার পড়াশোনার জন্য প্রতিমাসে ৩ হাজার টাকার ব্যবস্থাও করেছেন। এজন্য ধন্যবাদ জানাই। আমার স্বপ্ন পুলিশ হওয়া। আশা করি এই সহায়তা আমাকে স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করবে।”

জোসনা বেগম ও তার মেয়ে রুকাইয়ার এই গল্প কেবল দারিদ্র্যের কষ্টগাঁথা নয় এটি মানবতার আলোকবর্তিকা। ফেসবুকের একটি পোস্ট থেকে জন্ম নেওয়া সহায়তার হাত আজ একটি পরিবারকে দিয়েছে নতুন করে বাঁচার প্রেরণা, নতুন করে স্বপ্ন দেখার সাহস বলে জানান স্বেচ্ছাসেকব কাজল দাস।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ