
স্টাফ রিপোর্টার: উপমহাদেশে ইসলাম ধর্ম প্রচার ও প্রসারে অলি আউলিয়াগণের ভূমিকা অপরিসীম। তারা অনেক ত্যাগ ও ধৈর্যের সাথে আত্মিক পরিশুদ্ধির মাধ্যমে মানুষ কে মহান আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভের শিক্ষা দিয়ে গেছেন । তেমনি একজন মহান মানুষ ছিলেন হযরত নূরাই পীর ( রাঃ )।
এলাকাবাসী ও লোকমুখে প্রচলিত আছে প্রায় দুই শতাধিক বছর ধরে নেত্রকোনা জেলা আটপাড়া উপজেলায় ০১ নং স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে তার মাজার রয়েছে। ভক্ত ও এলাকাবাসী মনোবাসনা পূরণে এ মাজারে দানখয়রাত ও মানত করতে দেখা করা যায়। সন্ধ্যায় মোমবাতি জ্বালিয়ে দেয় ভক্ত ও এলাকাবাসী ।
সুদীর্ঘ দিন যাবত নিয়মিত বাৎসরিক ওরশ পালিত হয়ে আসছে এই মাজারে । প্রতি বছর ডিসেম্বর তিন দিনব্যাপী পালন করা হয় বাৎসরিক ওরশ। এবারের ওরশ মাহফিল প্রস্তুতি সম্পন্ন করাকালীন কিছু সংখ্যক কুচক্রী মহল মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে বাৎসরিক ওরশ মাহফিল বন্ধ করতে দূর্গাশ্রম চৌরাস্তায় মানববন্ধন করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আটাপাড়া থানা পুলিশ এ বছরের ওরশ মাহফিল বন্ধ করে দেয়। এতে করে হাজার হাজার ভক্ত ও এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সরেজমিনে কথা বলে জানা গেছে , এই ওরশ মাহফিল ও বাউল গানের অনুষ্ঠানে জন্য বিভিন্ন স্থানের লোকজন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন এলাকার বাসিন্দারা জানান, কুচক্রী মহলের কারণে এবারের ওরশ মাহফিল বন্ধ হওয়ায় আর্থিক ও সামাজিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে আয়োজকদের । মাজার ভাঙার হুমকিও দেয় দুর্বৃত্তরা।
হযরত নূরাই পীর ( রা ) মাজারের খাদেম এস এম সারোয়ার আলম মাইজভান্ডারী, মাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারেস মিয়া, আইমার সাবেক মেম্বার আ: রাজ্জাক, ওয়ার্ড মেম্বার নান্টু মিয়া , শ্রী রামপুর গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো, আব্দুল কাদের, কৃষ্ণপুর গ্রামের হাবুল মিয়া, সোন মিয়া, তৌহিদ মিয়া, বাচ্ছু মিয়াসহ প্রায় দুই শতাধিক এলাকাবাসী জানান, প্রতি বছর ওরশ মাহফিলে ধর্মীয় আলোচনা, মিলাদ মাহফিল, জিকিরের পরে রাতে মুর্শিদী, মারফতি, দেহতত্ত্ব সহ ধর্মীয় ও বাউল গানের অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। যা আমাদের আনন্দ দিত এবং আত্মতৃপ্তি উপভোগ করতাম। এ বছর ওরশ মাহফিল না বন্ধ করার জন্য কুচক্রী মহলের উপর হাজার হাজার ভক্ত ও এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে এলাকায় চাপা উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মাজারের খাদেম এস এম সারোয়ার আলম বলেন, কুচক্রী মহলের লোকজন মাজারের দরজা ও দান বাক্সের তালা ভেঙে দানকৃত টাকা নিয়ে যায়। মাজারের পবিত্রতা রক্ষা সকলের জন্য মঙ্গল। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নিয়মিত ওরশ মাহফিল করতে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চাই।