বৃহস্পতিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

একই পরিবারের ৪ জন পঙ্গু, জুটে না খাবার

শাহদাৎ হোসেন লাল, স্টাফ রিপোর্টার: কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার উত্তর নগরাজপুর গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারে ছয় সদস্যের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী ও বাবা-মাসহ চারজনই পঙ্গু। ১৫ বৎসর যাবত অসহায় মানবেতর জীবন-যাপন করছে ফুলবাড়ি উপজেলার এক দরিদ্র পরিবার।

উপজেলার উত্তর নগরাজপুর গ্রামের বাবা-মা-স্ত্রী সহ নিজেই পঙ্গুত্ব জীবন নিয়ে বহু কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। এ অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারসহ সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছে পরিবারটি।

সরেজমিন দেখা যায়, উত্তর নগরাজপুর গ্রামের রহুল আমিন (৪৫) স্ত্রী শিউলি বেগম (৪২) এবং তার বাবা আবুল কাশেম (৬৩) ও মা রহিম বেগম (৫৭) হামাগুড়ি দিয়ে বাড়ির উঠান থেকে ঘর পর্যন্ত কোনরকম চলাফেরা করতে পারে। চেহারা কালচে বর্ণের, জীর্ণশীর্ণ ও কঙ্কালসার তাদের দেহ। ঠিকমতো কথা বলতে পারেন না। পুষ্টি জাতীয় খাবার তো দূরের কথা, তিন বেলা দু’মুঠো ভাত ঠিকমত তাদের কপালে জুটে না।

স্বাভাবিক সুস্থ মানুষের মতো চলাফেরা করতে স্বাদ আল্লাদ থাকলেও নেই শরীর ও অর্থের সামর্থ্য। অর্থাভাবে উন্নত চিকিৎসা করতে না পারার কারণে দিন দিন দেহ নিস্তেজ ও হাড্ডিসার হয়ে যাচ্ছে।

বাড়িতে একটি টিনের ভাঙাচোরা দোচালা ঘরে কোনরকম দিন কাটাচ্ছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনের ভরসা রুহুল আমিন আটোরিকশা চালিয়ে খাবার যোগায়।

বিজয় চন্দ্র মোহন্ত জানান, রুহুল আমিন নিজেই পঙ্গু তার বাবা-মা ও স্ত্রী বাল্যকালে অন্যদের মতো ভালোই ছিল প্রায় ১৫ বৎসর থেকেই ধীরে ধীরে তার শরীর রুগ্ন ও পঙ্গু হয়ে যায়।

স্ত্রী শিউলি বেগম জানান, কবিরাজিসহ বিভিন্ন চিকিৎসা করিয়েও ভালো হয়নি। একের পর এক তার স্বামী রুহুল আমিন, শ্বশুর আবুল কাশেম ও শাশুড়ি রহিমা বেগম সহ নিজেও একইভাবে আক্রান্ত হয়ে পঙ্গু হয়ে যায়।

মো: আদম আলী জানান, সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি। একইসঙ্গে সমাজের বিত্তশালীদের সহযোগীতা পেলে পরিবারটির কষ্ট লাঘব হবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on tumblr
Tumblr
Share on telegram
Telegram

, , , বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ