
কক্সবাজার প্রতিনিধি: ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে বিশেষ অভিযানে গেল ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে জেলার বিভিন্ন থানায় অভিযান চালিয়ে ৬০ জনকে গ্রেফতার করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ।
অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা সবাই বিভিন্ন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসীম উদ্দিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, “গ্রেফতারকৃতদের সবাই বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত। জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশে শুরু হওয়া একটি বিশেষ অভিযান, যার বাংলা অর্থ ‘শয়তান শিকারের অভিযান’। উদ্দেশ্য দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা।
জানা গেছে, বুধবার সকাল ৮টার দিকে চকরিয়া উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী নিয়ে প্রকাশ্যে মিছিল বের করে নিষিদ্ধ ঘোষিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এই মিছিলের পরপরই ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ আরও জোরদার হয়। অভিযানের ধরন ও সময় পর্যালোচনায় বোঝা যাচ্ছে, বুধবারের মিছিলকে কেন্দ্র করেই পুলিশ সক্রিয় হয়ে ওঠে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন বলেন, “অনেকটা তাই। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ। এখন যদি তারা প্রকাশ্যে মিছিল করে, তা সরকারের আদেশ-নির্দেশনার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “জেলার আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখতে যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।”
এদিকে, জেলার বিভিন্ন থানার ওসিদের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অভিযানে আটক ব্যক্তিদের বেশিরভাগই উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মী।
বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে গ্রেফতার হওয়া অনেক নেতাকর্মীকে কক্সবাজার জেলা আদালতে হাজির করতেও দেখা গেছে।