
মামুন-উর-রশিদ, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ি উপজেলার বালারহাট সীমান্তে শূণ্য রেখায় বিএফএস কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও বাংলাদেশি জনগন মুখোমুখী অবস্থানে গেলে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালারহাট সীমান্তের ৯৩০ আন্তর্জাতিক পিলারের কাছে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দা ও বিএসএফ এর পিটনীতে আহত ব্যক্তির স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার নামাজের পর নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম বালাটারী গ্রামের সামছুল আলম(৬০) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার ২০০ থেকে ৩০০ গজ অভ্যন্তরে বসে ছিলেন। এসময় হঠাৎ ১০ থেকে ১২ জন বিএসএফ আন্তর্জাতিক সীমান্তরেখা ৯৩০ পিলার পার হয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে এসে ওই ব্যক্তিকে সেখানে বসে থাকার কারণ জানতে চান। একসময়ে কথা কাটাকাটি শুরু হলে তাঁরা বন্দুকের পিছনের অংশ দিয়ে সামছুল আলমকে আঘাত করে। এতে তাঁর ডান হাত ফেটে যায়।
সামছুল আলম এলাকায় ফিরে ঘটনা সবাইকে জানালে এলাকাবাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই স্থানে বিএসএফকে ধাওয়া করে। এসময় একসাথে অনেক বাংলাদেশি নাগরিককে সীমান্তরেখায় দেখে বিজিবি এক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে এবং কয়েকজন বাংলাদেশিকে মারধর করে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ী উপজেলার গোরকমন্ডল বিজিবি ক্যাম্পের কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের শান্ত করে সীমান্তরেখা থেকে ফিরিয়ে আনে। তবে ভারতীয় সীমান্তে এখনো বিএসএফ সদস্যরা কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে ও ভেতরে সজ্জিত থাকায় সীমান্তের উত্তেজনা কমছে না।
বিএসএফ এর বন্দুকের আঘাতে আহত সামছুল আলমের ছেলে জিহাদ হোসেন জানান, শুক্রবার নামাজের পর আমার বাবা (সামছুল আলম) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে বসে ছিলেন। বিএসএফ এর সদস্যরা বন্দুক দিয়ে তাঁকে আঘাত করে আহত করে। বিএসএফ এর বন্দুকের আঘাতে ডান হাত ফেটে যায়। আমরা তাঁকে বাসায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি।
লালমনিরহাট ১৫ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের লে. কর্ণেল শাকিল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সীমান্তে কিছু বাংলাদেশী জনগণ জড়ো হওয়ার ঘটনায় উত্তেজনা চলছে। ঘটনার বিস্তারিত তথ্যের জন্য আমরা কাজ করছি।