
খান মোঃ আঃ মজিদ, দিনাজপুর: দিনাজপুরের খানসামায় কলেজ পাড়ায় মতিয়ার রহমান এর বাসায় ভাড়া থাকতেন নুরন্নবী নামে এক ব্যক্তি। কিছু দিন আগে তার বদলি হয় অন্য জায়গায়।
তিনি বাসা ছেড়ে না দেওয়ায় কারণে তার গ্রামের জয়পুরহাট সদরের আটোয়ারা গ্রামের এমদাদুল হক এর পুত্র ইমরান হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, একই এলাকার জয়পুরহাটের শেখ পাড়ার কামাল পাশার পুত্র গোলাম সাকলাইল (ব্রাক কর্মী) গালফ্রেন্ড নিয়ে খানসামা কলেজ পাড়ায় মতিয়ার রহমান এর বাসায় রাত ৯ টার সময় ওঠেন।
একপর্যায়ে গোলাম সাকলাইল উক্ত নারীর সাথে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলাকালীন সময় খানসামা থানার এসআই সাহিন সাঈদ ও কনস্টেবল এসএম মুক্তাফি রাত ১২টা থেকে ভোর ৪ টা পর্যন্ত উক্ত বাসায় অভিযান চালান।
পাশ্ববর্তী রুমে থাকা অপর ভাড়াটিয়া নুরুল ইসলাম নামে এক আলেমকে এসআই ও কনস্টেবল মারপিট করেন। বিভিন্ন বিষয় জিঙ্গাসাবাদ করেন এবং টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় নুরুল ইসলাম মারধর করেন। পার্শ্ববর্তী বাসার মালিক আঃ ওয়াহাব মাস্টার, রবিউল হাফেজ সহ অনেকেই ভোর ৪ টায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। এবং হুজুরের ২টি মোবাইল নিয়ে নেন।
জানা গেছে, এসআই ও কনস্টেবল উক্ত নারী সহ ইমরান হোসেন ও গোলাম সাকলাইলের নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা, ২টি মোবাইল, ১টি ট্যাব ও ২ টি মোটরসাইকেল নিয়ে তাদেরকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।
এ বিষয়ে এসআই শাহিন সাঈদ ও কনস্টেবল এসএম মুক্তাফি জানান, উক্ত বাসায় দির্ঘ দিন ধরে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অথ্য পাওয়ার পর ঐ বাসায় আমরাও ভাড়া নেই। ফলে আজকে ব্যক্তিগতভাবে অভিযান পরিচালনা করে এবং থানায় চলে আসি।
এ বিষয়ে খানসামা থানা অফিসার ইনচার্জ নজমুল হক জানান, এসআই সাহিন সাঈদ ও কনস্টেবল এসএম মুক্তাফি ৩ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর পুলিশ হাসপাতালে ভর্তির জন্য সিসি নিয়ে যায়। কিন্তু পরর্বতীতে থানায় ফিরে আসে নাই।
নারী নিয়ে আসা ব্রাক কর্মী সাকলাইন, ইমরান হোসেন ও হুজুর নুরুল ইসলাম এবং বাড়ির মালিক, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ মৌখিকভাবে থানায় এসে অভিযোগ করেন। এসআই ও কনস্টেবল এর বিষয়ে থানায় জিডি করা হয়। এবং প্রতিবেদন পুলিশ সুপার দিনাজপুর বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।