
গাইবান্ধা প্রতিনিধি: সালিশের নাম করে জাতীয় পার্টির অফিসের শাটার ফেলে অসহায় লোকজনদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে অমানুষিক নির্যাতন, মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে মোস্তফা জামান মিন্টু নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
তিনি গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি।
জানা যায়, রথবাজার নামক স্থানে তার ব্যক্তিগত অফিস। যা জাতীয় পার্টির অফিস নামে পরিচিত। উক্ত অফিসে বাল্য বিবাহ থেকে শুরু করে দুঃস্থ, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা অবৈধভাবে টাকা নেওয়ার অনেক প্রমাণ রয়েছে। শুধু তাই নয় টাকা ছাড়া কোনো বিচার শালিস হয় না। তার অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। মিন্টু মেম্বরের ভাগী শরীকদের তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে এলাকার অসহায় ময়নুল ইসলামের সাথে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়।
এদিকে আপস মীমাংসার কথা বলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৭ সেপ্টেম্বর রথবাজারে মিন্টু মেম্বারের ব্যক্তিগত অফিসে রাত ১০টার ডাকেন। উক্ত অফিসে এলাকার চিহ্নিত দালাল ফ্যাসিস্টের দোসর মন্টুর নেতৃত্বে অফিস ঘরের শাটার ফেলে অসহায় ময়নুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে অমানুষিক নির্যাতন ও মারপিট করেন।
এ সময়ে এলাকার ওয়ার্ড বিএনপির সদস্যরা রক্ষা করতে আসলে তাদেরকেও মারপিট করেন। তাদের মারপিটের কারণে গুরুতর আহত হয়ে, বিএনপির লোকজন সহ ৫/৬ জন গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পরে ময়নুল বাদী হয়ে ২৩ জনকে আসামি করে। গাইবান্ধা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৩, তারিখ ৮/৯/২০২৫ ইং উক্ত মামলার কিছু সংখ্যক আসামী বিজ্ঞ আদালত হইতে গত ১০/৯/২৫ইং তারিখে জামিন নিয়ে বাড়িতে এসে বাদী পক্ষের লোকজনদেরকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি হুমকি প্রদর্শন করেন।
পরে বাধ্য হয়ে ময়নুল ইসলাম বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। যাহার নং ৬৮৩, তারিখ ১১/৯/২০২৫ইং। সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষের দাবি আসামিদেরকে অতি সত্বর গ্রেফতার করা হোক।