মঙ্গলবার, ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

গাইবান্ধায় বালু ব‍্যবসায়ীদের দখলে নিউব্রিজ, শহর রক্ষা বাঁধ

নুরুল ইসলাম, গাইবান্ধা: দীর্ঘদিন থেকে গাইবান্ধা নতুন ব্রিজ সংলগ্ন ঘাঘট নদীর দুই তীর এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)’র জায়গা নিজেদের দখলে নিয়ে রমরমা বালুর ব্যবসা করে আসছেন বালু ব‍্যবসায়ী ও বোলগেট মালিকরা।

এসব বালু বহ্মপুত্র নদীর চর কেটে বড় নৌকা ও বোলগেটের সাহায্যে নিয়ে আসে এবং তা স্তূপ করে রাখা হয় নিউ ব্রিজ সংলগ্ন ঘাঘট নদীর তীর ঘেঁষে পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) এর জায়গায়। প্রতিনিয়ত বালু বোঝাই মাহিন্দ্র ট্রাক্টর, কাকড়া, ট্রাক ও ট্রলির অবাধে চলাচল করায় শহর রক্ষা বাঁধের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল।

পথচারীরা জানান, যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ছাড়াও শুষ্ক মৌসুমে এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। মাস্ক পড়েও ধুলাবালি আটকানো যায় না।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বালুর স্তূপ থেকে বালু উড়ে এসে আমাদের নাক-মুখ দিয়ে শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে কাশি, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগের সৃষ্টির হচ্ছে। আমারা এসব থেকে প্রতিকার চাই।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকেই অবৈধভাবে এসব বালু বহ্মপুত্র নদী থেকে উত্তোলন করে বোলগেট ও বড় নৌকাযোগে নিয়ে আসা হয় ঘাঘট নদীতে। পরে তা নিউ ব্রিজ সংলগ্ন বাঁধের জায়গা দখল করে বালুর স্তূপ গড়ে তোলেন। নির্বিঘ্নে দিনরাত দাপটের সাথে লাখ, লাখ টাকার ব্যবসা করে আসছে বালু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ও বোলগেট মালিকরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব‍্যক্তি জানান, কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারি উপজেলার বালুমহাল থেকে এসব বালু না নিয়ে বহ্মপুত্র নদী থেকে চোরাইভাবে নকল রশিদ মূলে নিয়ে আসা হচ্ছে। সরকারের আদায়কৃত ঘাটে না নেয়ার কারণে সরকার দু’দিক থেকে রাজস্ব হারাচ্ছেন কোটি কোটি টাকা।

এ ব্যাপারে পানী উন্নয়ন বোর্ডে বার বার যোগাযোগ করেও কোন আইনি পদক্ষেপ না নেয়ায় তাদের ভূমিকা নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগী সচেতন মহল এসব বালু ঘাঁটি বন্ধসহ জড়িতদেরকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ