
নুরুল ইসলাম, গাইবান্ধা: গাইবান্ধা সদর উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে মোঃ ইলিয়াস হোসেন একটি অবিচ্ছেদ্য নাম, একটি ত্যাগের প্রতীক, একটি তৃণমূলের আইকন।
তিনি শুধু একজন নেতা নন, তিনি একজন সংগ্রামী যোদ্ধা যিনি নিজের শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকেও উপেক্ষা করে দলের পাশে থেকেছেন প্রতিটি আন্দোলন, প্রতিরোধ আর কর্মসূচিতে।
একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনায় শারীরিকভাবে পঙ্গুত্ব বরণ করার পরেও তিনি পিছপা হননি। হুইলচেয়ারে বসেও তিনি রাজপথে ছিলেন, হাটে-ঘাটে, গ্রামে-গঞ্জে গিয়ে সাধারণ নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। হাট বন্ধ, রেলপথ অবরোধ কিংবা গণসমাবেশ—যেখানেই দল ডাক দিয়েছে, ইলিয়াস হোসেনকে সেখানে ছিলেন সবচেয়ে দৃশ্যমান ও সক্রিয় একজন।
এই ত্যাগ কোনো পদ-পদবির জন্য নয়, বরং দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে, গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে একজন নির্ভীক সৈনিক হয়ে লড়াই করে যাচ্ছেন।
তৃণমূলের প্রত্যেকটি কর্মী জানে—ইলিয়াস হেসেন শুধু নেতৃত্ব দেন না, তিনি অনুপ্রেরণা দেন। আজকের রাজনীতিতে যেখানে স্বার্থপরতা ও নিজের সুবিধা বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেখানে ইলিয়াস হোসেন হোসেন হচ্ছেন আত্মত্যাগ ও নীতির প্রতীক।
বিএনপির সাবেক এই ফুটবলার সিনিয়র যুগ্ম -সাধারন সম্পাদক, গাইবান্ধা জেলা বিএনপি সদস্য সচিব,সদর উপজেলা বিএনপির দায়িত্ব পালন করেছেন।
তাঁর মতো নেতা গাইবান্ধা সদর বিএনপির সম্পদ। তাঁর ত্যাগের মূল্যায়ন হওয়া উচিত দলীয়ভাবেই, যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রাজনীতিকে ব্যক্তিস্বার্থের নয়, বরং আদর্শ ও ত্যাগের জায়গা হিসেবেই দেখে তার প্রাপ্য সম্মান রাখতে আসন্ন গাইবান্ধা সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী করে আমরা ধন্য মনে করবো ইনশাআল্লাহ।