
মো. রাশিদ উদ্দিন, স্টাফ রিপোর্টার: পটুয়াখালীতে বসন্তের আগমনের বার্তা মানেই পরিবর্তনের আভাস। শীতের শেষে বসন্ত সব গাছেরা আড়মোড়া ভেঙে, পুরোনো পাতা ঝরে গাছের ন্যাড়া মাথায় গজায় ঘন সবুজ কচি পাতা।
চারদিকে গাছগাছালি খাঁ খাঁ করছে পাতা শূন্যতায়। শীত সকালের কুয়াশা কেটে পুব আকাশে ভেসে উঠে রক্তিম সৌন্দর্যময় সূর্য। লাল আলোয় গাছের ডালপালায় মৃত্যুঞ্জয়ী খেলা করে। পিপাসু গাছের ডালপালা এক পশলা বৃষ্টির আশায় হা করে তাকিয়ে থাকে বাংলার আকাশের দিকে। এ যেন বিধাতার অপরূপ সৃষ্টি। আর এসব প্রকৃতিকে দিয়েছে এক অপরূপ সৌন্দর্য।
কচি পাতার সান্নিধ্যে গাছে গাছে নতুন ফুলের কুঁড়ি। ফুল ফুটে নানা রঙের। চারপাশে পাখির কলতান, কোকিলের সুমধুর কুহু ডাক যেন নতুনের এক আগমনী বার্তা। তখন প্রকৃতি সাজে নতুন রূপে, যেমনটা সাজে নববধূরা। তাই তো প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য বসন্তের আগমন এক বিশেষ বার্তা বহন করে।
গ্রাম বাংলায় বহুকাল ধরে চলে আসছে ঋতু বৈচিত্র্যে.গ্রীষ্ম.বর্ষা. শরৎ.হেমন্ত.শীত ও বসন্ত ৷বছরে এ ছয় ঋতুর দেখা বিশ্বের খুব কম দেশেই দেখা যায় ৷কিন্তু দিনে দিনে এই ঐতিহ্য ও গর্বের আবহাওয়া ক্রোমেশি বদলে যাচ্ছে ৷কৃষি প্রধান এদেশে আবহাওয়া বদল এর ফলে দেখা দিচ্ছে জনস্বাস্থ্য নানান সমস্যা ৷বর্তমানে গ্রীষ্ম.বর্ষা ও শীত এই তিন ঋতুর দিকে ধাবিত হচ্ছে এ গ্রাম অঞ্চল ৷
সম্প্রতি গ্রামবাংলায় এক সময় প্রচলিত একটি জনপ্রিয় প্রবাদ ছিল,যে মাঘের শীতে বাঘ পালায় ৷ এর মাধ্যমে আমরা বুঝতাম,মাঘ মাসের শীত এতটাই তীব্র হতে পারে যে.বাঘের মত শক্তিশালী প্রাণীও তা সহ্য করতে পালিয়ে যায় ৷তবে বাস্তবতা ভিন্ন জলবায়ু পরিবর্তনে নেতিবাচক প্রভাবে বাংলাদেশের আবহাওয়া আজ বিপর্যস্ত ৷এদিকে শীতকাল আগের মত দীর্ঘ স্থায়ী বা তীব্র নয় দেখা যায় মাঘ মাসের মাঝামাঝিই শীত চলে যায় ৷এদিকে গ্রীষ্ম শুরুর আগেই তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়৷ ক্রমাগত তাপমাত্রা বৃদ্ধি প্রচন্ড গরম এবং তাপ প্রবাহের পূর্বাভাস দেখা দিচ্ছে ৷তবে এই পরিবর্তন শুধু আবহাওয়ার সীমাবদ্ধতা নয় এটি কৃষি,শ্রমজীবী,জনজীবন ও অর্থনীতি পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে ৷অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের এই বাস্তবতা আমাদের জন্য সতর্কবার্তা ৷