
আলমগীর হোসেন হিরু, চাটখিল(নোয়াখালী): নোয়াখালী চাটখিলে জনবল সংকটে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদানসহ দাপ্তরিক কাজে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে এই জনবল সংকটের কারণে শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যদিকে শিক্ষকগণ তাদের বকেয়া বিল ভাতা যথাসময়ে পাচ্ছেন না।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ১১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৬টি প্রধান শিক্ষক ও ৭৩টি সহকারী শিক্ষকসহ মোট ১০৯টি পদ শূন্য রয়েছে। ৩৬টি বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে। এতে করে শিক্ষার্থীদেরকে যথাযথ পাঠদান করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে অফিসে জনবল সংকটের কারণে শিক্ষকরা তাদের বিল ভাতা পেতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। ৬ জন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারের মধ্যে মাত্র ২ জন কর্মরত আছেন বাকি ৪টি পদ দীর্ঘদিন থেকে শূন্য রয়েছে। এতে করে এতোগুলো বিদ্যালয় নিয়মিত তদারকি করা ২ জনের পক্ষে সম্ভব হয় না।
এ ছাড়া অফিসে উচ্চমান সহকারী ১ জন ও সহকারী ২ জন এই তিনটি পদই শূন্য রয়েছে। একমাত্র হিসাব সহকারী ১ জন দিয়ে পুরো অফিস পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না বিধায় শিক্ষকরা তাদের বিল ভাতা যাথ সময় না পেয়ে ভোগান্তিতে রয়েছে।
চাটখিল উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল হান্নান এসব সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, জনবল সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বার বার অবহিত করা হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসীসহ শিক্ষক নেতৃবৃন্দ এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।