
আলমগীর হোসেন হিরু, চাটখিল (নোয়াখালী): নিবন্ধনের ১০ বছরেও জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) পায়নি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের তাহমিনা। ২০১৫ সালের (৫ সেপ্টেম্বর) নিবন্ধন ফরম (ফরম নম্বর: ৩৯১০৯৯১০) পূরণের পর থেকে গত ১০ বছর ধরে অপেক্ষার প্রহর গুনছে তাহমিনা আক্তার।
রবিবার দুপুরে তাহমিনার ভাই গোলাম রাব্বানী চাটখিল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিবন্ধন স্লিপ নিয়ে আবারো এনআইডি কার্ডের সন্ধানে গেলে কার্যালয়ে নিয়োজিত কেউই থাকে সঠিক কোন তথ্য দিতে পারেনি। রাব্বানী বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে জানান, বিগত ১০ বছর ধরে এনআইডি কার্ডের জন্য হয়রানি হচ্ছেন। বারবার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে যোগাযোগ করলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। উল্টো দায়িত্বরতরা বিরক্ত হয়ে অসদাচরণ করছে।
প্রতিবেদক পরিচয় গোপন রেখে চাটখিল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সরেজমিনে গেলে অভিযোগের সত্যতা মিলে। সেবা গ্রহিতাদের সাথে অসদাচরণ করছে কার্যালয়ে নিয়োজিত কর্মকর্তারা। সেবা প্রত্যাশিরা জানান, টাকা ছাড়া কোন সেবা পাওয়া যায় না নির্বাচন অফিসে। তবে টাকার লেনদেন অফিসে হয় না। চিহ্নিত দালালদের মাধ্যমে বাহিরে থেকেই লেনদেন করে কার্যালয়ে আসতে হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সেবা গ্রহিতা জানান, তার এনআইডিতে মায়ের নামের ভুল সংশোধনের জন্য আবেদন করে ২ বছরেও সেবা পাননি। পরবর্তীতে ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার ১দিন পরই এনআইডি সংশোধন হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে ঐ নারী জানান, চাটখিল পৌর বাজারের যেই কম্পিউটার দোকানে এনআইডি সংশোধনের অনলাইন আবেদন করেছেন ঐ দোকানদারের মাধ্যমে ২৫ টাকা দিয়ে সংশোধিত কপি পেয়েছেন। পরবর্তীতে ছদ্মবেশে পৌর বাজারের একাধিক কম্পিউটার দোকানে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার ওয়েব পোর্টালে দেওয়া মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেনের ব্যক্তিগত মুঠোফোন নাম্বারে যোগাযোগ করলে তিনি, অভিযোগের বিষয়ে অবগত নাই বলে জানান।