
নবীনগর প্রতিনিধি : নবীনগর পৌরসভার বিজয় পাড়ার জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবীতে এবার পৌরসভার মেয়র এডভোকেট শিব শংকর দাসের পদত্যাগ চাইলেন ভুক্তভোগীরা।
বৃহস্পতিবার নবীনগর পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে ভুক্তভোগীদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক মানববন্দন থেকে ওই পদত্যাগের দাবী তোলা হয়।
তবে মেয়র জানিয়েছেন, ‘বিজয়পাড়া সড়কের দুপাশে ব্যক্তি মালিকানাধীন বাড়ির পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত জায়গা না রাখায় ড্রেন নির্মাণ করা যাচ্ছে না। ফরে জলাবদ্ধতা নিরসন হচ্ছে না।’
জানা গেছে, পৌরসভার বিজয়পাড়ায় অবস্থিত শত শত পৌরবাসি দীর্ঘদিন ধরে প্রচন্ড জলাবদ্ধতায় দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। এমনিতেই সেখানে জলাবদ্ধতা লেগে থাকে, এরপর সামান্য বৃষ্টি হলেই বিজয়পাড়া সড়কে হাঁটু পানি লেগে যায়। এতে বিজয় পাড়ার শত শত পৌর নাগরিকদেরকে এক অসহনীয় দূর্ভোগ পোহাতে হয়। এ অবস্থায় ভুক্তভোগীরা এর প্রতিকার চেয়ে ইতিমধ্যে একাধিকবার পৌর মেয়রের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না।
ভুক্তভোগীরা জানান, প্রচন্ড জলাবদ্ধতা নিরসনে মেয়রের উদাসীনতায় এলাকার লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে পৌরসভা কার্যালয়ে বিজয়পাড়ার লোকজন মানববন্ধন করেন। পরে মানববন্ধন থেকে মেয়রের পদত্যাগ দাবী করেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে নবীনগর পৌরসভার মেয়র শিব শংকর দাস বলেন,’বিজয় পাড়ার জলাবদ্ধতা নিরসনে সেখানে পরিকল্পিত ড্রেন নির্মাণ করতে আমি একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু বিজয় পড়া সড়কে অবস্থিত সেখানকার বাড়িওয়ালারা ড্রেনের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা না দেওয়ায়, পৌরসভা থেকে বিজয়পাড়ায় ড্রেন তৈরী করতে পারছি না। ‘
মেয়র জানান, ড্রেনের জন্য জায়গা পেলে, শিগগীরই জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু করবো।”
এদিকে মানববন্ধন চলাকালে এক সাংবাদিক মানববন্ধনকারীদের প্রশ্ন করলে, সেখানে উপস্থিত আরেকজন সাংবাদিক প্রশ্নকর্তা ওই সাংবাদিককে বাঁধা প্রদান করে। এ নিয়ে দুই সাংবাদিকের মধ্যে কথাকাটাকাটি হতে দেখা যায়। যা পরে ভুক্তভোগীদের সঙ্গেও এক সাংবাদিককে উত্যপ্ত বাক্য বিনিময় করতে দেখা যায়। তবে উপস্থিত কয়েকজনের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি শান্ত হলে, ভুক্তভোগীরা মানববন্ধন শেষ করে চলে যান।
তবে কথাকাটাকাটির সামান্য এ ঘটনাটিকে রঙ লাগিয়ে কেউ কেউ তর্কাতর্কির ওই ভিডিও ফুটেজটি পোস্ট দিয়ে এক সাংবাদিককে ভুক্তভোগীরা লাঞ্ছিত করেছেন বলে উল্লোখ করেন। অথচ, ভিডিও’র কোথাও সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার এমন অভিযোগের সত্যতা কোথাও দেখা যায়নি।