কবির হোসেন, টাঙ্গাইল: ‘জুয়াকাণ্ড’ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক লাল মাহমুদ খান ওরফে লাল খাঁ’কে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁকে দু-এক দিনের মধ্যেই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার সকালে পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত না হওয়ার কোনো কারণ নেই। যেহেতু আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর বার্তা। আর আমারও এই সমস্ত বাজে জিনিস প্রশ্রয় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না, সে যেই হোক।
জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে লাল খাঁ কে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসার জন্য আমি ঢাকায় আছি। ফিরেই তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামান তালুকদার সেলু জানান, দলের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করায় সাংগঠনিকভাবে বিএনপি নেতা লাল খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পৌর কমিটি দুই একদিনের মধ্যেই এটি বাস্তবায়ন করবে।
প্রসঙ্গত, প্রশাসনের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার তেঘুরী এলাকায় নদীতে জেগে ওঠা চরে এবং নদীর ওপারে ভুট্টা খেতের আড়ালে জমজমাট জুয়ার আসর বসানো হয়েছে। পৌর বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক লাল মামুদ খান ওরফে লাল খাঁ পুলিশকে হাত করে এ জুয়ার আসর নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে সম্প্রতি জুয়ার আসর বসানোর প্রতিবাদ করলে জমির মালিক যুবদল নেতা মিল্টনকে অকথ্য ভাষা ব্যবহারের পর দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বিএনপি নেতা লাল খান। এরপর থেকে নিজের নিরাপত্তার শঙ্কায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।
এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে পুরো উপজেলায় বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী অভিযুক্ত লাল খাঁ কে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার অভিযোগে বহিস্কারের দাবি তোলে। সমালোচনার মুখে অবশেষে ওই নেতাকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পৌর বিএনপি।