মঙ্গলবার, ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ট্রাফিক জরিমানার টাকা আত্মসাৎ: অমিত ঘোষ বাপ্পার বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগে উত্তাল পাকাপোল এলাকা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা শহরের পাকাপোল এলাকায় আবারও আলোচনায় উঠে এসেছেন অমিত ঘোষ বাপ্পা। সম্প্রতি এক ট্রাফিক মামলার জরিমানার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। এর আগেও তার বিরুদ্ধে মাদক সেবন, প্রতারণা ও নানা অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে পাকাপোল এলাকার এক ব্যবসায়ী ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক মোটরসাইকেলের কাগজপত্রজনিত মামলায় জরিমানার শিকার হন। ওই সময় অমিত ঘোষ নিজেকে প্রশাসনের ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়ে জরিমানার টাকা পরিশোধের দায়িত্ব নেন এবং ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও কোনো রসিদ বা কাগজপত্র জমা দেননি তিনি। এমনকি বারবার তাগিদ দেয়ার পরও টাকা ফেরত দেননি।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জানান, “আমি ভেবেছিলাম উনি প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন বলে হয়তো দ্রুত কাজ হয়ে যাবে। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি আমি প্রতারিত হয়েছি। টাকা তো গেলই, তার সঙ্গে সম্মানও হারালাম।”

এই ঘটনার পর বিষয়টি স্থানীয় ব্যবসায়ী মহলে জানাজানি হলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, অমিত ঘোষ দীর্ঘদিন ধরে একই ধরনের প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। বিশেষ করে নিরীহ, সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে তিনি অর্থ আত্মসাৎ করে থাকেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে এলাকাবাসীর কেউ কেউ বলেন, “অমিত ঘোষ একাধারে একজন মাদকসেবী, সন্ত্রাসী এবং প্রতারক। সে প্রায়ই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এলাকায় ঘোরাফেরা করে এবং সুযোগ পেলে প্রতারণা করে থাকে। আগেও তার নামে অভিযোগ উঠেছিল, কিন্তু রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ছত্রছায়ায় সে বারবার পার পেয়ে গেছে।”

স্থানীয় সূত্র আরও জানায়, অমিত ঘোষ বাপ্পা প্রশাসনের কিছু অসাধু সদস্য এবং প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে নিজেকে রক্ষা করে চলেছেন। ফলে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতেও ভয় পায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে অনেকে লিখেছেন—“একজন প্রতারক কিভাবে সমাজে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়, সেটা দেখলে হতাশ হতে হয়। প্রশাসনের উচিত এই ধরনের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।”

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলার মামলায়ও অমিত ঘোষ বাপ্পার নাম রয়েছে। সেখানে তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র হামলার অভিযোগ রয়েছে। এতে পরিষ্কার যে, অমিত ঘোষ বাপ্পার কর্মকাণ্ড শুধু প্রতারণা বা মাদক সেবনে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তিনি এখন একাধারে সামাজিক, আইনগত ও নৈতিক হুমকিতে পরিণত হয়েছেন।

এলাকাবাসীর জোর দাবি, অমিত ঘোষ বাপ্পার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক, যেন ভবিষ্যতে কেউ প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করতে না পারে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *