বুধবার, ১৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় হাতে লেখা কোরআনের প্রচ্ছদ উন্মোচন, ওজন ২০ মণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : হাতে লেখা ২০ মন ওজনের পবিত্র আল-কুরআনের প্রচ্ছদ উন্মোচন করেছেন বাংলাদেশের আলেমরা। তাদের দাবি, এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ হস্তলিখিত আল-কুরআন। সর্ববৃহৎ হস্তলিখিত এই গ্রন্থকে গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান তারা।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বেলা ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে হাতে লেখা এই পবিত্র আল-কুরআন প্রদর্শন আয়োজক কমিটির এক সংবাদ সম্মেলন এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে গ্রন্থটির প্রথম পৃষ্ঠা উন্মোচন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও ধর্মমন্ত্রী  মো. ফরিদুল হক খান।

আয়োজকরা জানান, হাতে লেখা এ গ্রন্থের দৈর্ঘ্য ১৪ ফুট। এর আগে বিশ্বের সব হাতে লেখা কুরআন ছিল ১০ ফুটের নিচে। এ ছাড়াও ১২ ফুট প্রস্থের এই গ্রন্থটি ২০০ পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। যার ওজন প্রায় ৮০০ কেজি বা ২০ মণ। হাতে তৈরি বাশের কলম ও দোয়াতকালি দিয়ে লেখা হয়েছে পবিত্র গ্রন্থটি। 

দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে এই লেখার কাজ চলেছে। অভিজ্ঞ হাফেজদের দিয়ে গ্রন্থটি শুদ্ধতা যাচাই করা হয়েছে। এখন প্রচ্ছদ ও নকশার কাজ বাকি। সেখানে স্বর্ণ, রূপা, ব্রঞ্চ, কাঠ, স্টিল, এস এস ও ফোম ব্যাবহার করা হবে।

পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সূচনা করেন বিশ্ববরেণ্য ক্বারি শায়েখ আহমদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। এসময় তিনি তিনটি দাবি উপস্থাপন করেন। এগুলো হলো- একটি ইসলামভিত্তিক জাদুঘর নির্মাণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইসলামের প্রচার ও প্রসার এবং এসব প্রতিষ্ঠানের দেওয়ালগুলোতে ক্যারিওগ্রাফি বা কোরআনের আয়াত লিখে শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেন, আয়োজকদের দাবি অনুযায়ী এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় হস্তলিখিত আল-কুরআন। বিশ্বের যারা এই বিষয়টি খতিয়া দেখেন, আমি তাদের আহ্বান জানাই তারা যেন বিষয়টির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগ নেয়। গিনিস রেকর্ডে লিপিবদ্ধ করতে আমরা সহযোগিতা করব।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের হাফেজরা প্রতি বছর বিভিন্ন দেশে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সাফল্য অর্জন করছে।  তারা আমাদের দেশের গর্ব। শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলামের যে খেদমত করেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে কাজ করে যাচ্ছেন।   

দাবিগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় জাদুঘর আছে। ইরানে গিয়েও দেখেছি সেখানে প্রত্নতাত্ত্বিক যাদুঘর রয়েছে। দুঃখের বিষয় আমাদের আলমগণ এসব বিষয়ে বাধা দেন।  ভবিষ্যৎ তরূণদের জানার জন্য এ ধরনের সংরক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও যেসব দাবি উত্থাপন করা হয়েছে সেগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ। 

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সভাপতি হাফেজ আব্দুল হক, বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মোহাম্মদ কামাল হোসেন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আয়োজক কমিটির সভাপতি স ম ইফতেখার মাহমুদ, সহ-সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহিম নোমান প্রমূখ।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ