মঙ্গলবার, ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকার মহানগর প্রজেক্টে ফ্ল্যাটের ভাগাভাগি নিয়ে দীপ্ত টিভির কর্মকর্তাকে হত্যা, গ্রেপ্তার ৫

যায়যায়কাল প্রতিবেদক : রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ফ্ল্যাটে এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সকালে এই হত্যার ঘটনা ঘটে। বাড়ি নির্মাণ ও ফ্ল্যাট ভাগাভাগি নিয়ে আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিরোধের জেরে জমির মালিকের ছেলেকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত ব্যক্তির নাম তানজিল জাহান ইসলাম ওরফে তামিম (৩৪)। তিনি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভির সম্প্রচার কর্মকর্তা এবং জমির মালিক সুলতান আহমেদের ছেলে।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. রুহুল কবির খান। সেখানে জানানো হয়, গতকাল ও আজ মালিবাগ ও রামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. আবদুল লতিফ, মো. কুরবান আলী, মাহিন, মোজাম্মেল হক কবির ও বাঁধন।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরা মহানগর প্রজেক্টের বক্ল-ডির নির্মাণাধীন ভবনের অষ্টম তলার করিডরে জমির মালিক, আবাসন প্রতিষ্ঠান ও ওই ভবনের আরও কয়েকজন মালিকের মধ্যে হাতাহাতি হয়। বাড়ি নির্মাণ ও ফ্ল্যাট ভাগাভাগি নিয়ে এই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে হামলায় জমির মালিকের ছেলে তানজিল গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ভবন নির্মাণের জন্য জমির মালিক সুলতান আহমেদ প্লিজেন্ট প্রপার্টিজ (প্রা.) লিমিটেড নামে একটি আবাসন নির্মাণ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেন। চুক্তি অনুসারে জমির মালিকদের ফ্ল্যাটের অংশ বুঝিয়ে দেওয়া নিয়ে জমির মালিকদের ও কোম্পানির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় ‌১৬ জনের নাম উল্লেখ করে হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা হয়। আসামিদের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।

পুলিশ ও নিহত তানজিলের পরিবার গত‍কাল জানায়, আবাসন প্রতিষ্ঠানের কর্মী, তাদের সঙ্গে আসা ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা তানজিল ও তার বাবা সুলতান আহমেদের ওপর হামলা করেন। এতে তানজিলের মৃত্যু হয়।

তানজিলের মামা মাসুদ করিম বলেন, প্লিজেন্ট প্রোপার্টির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শেখ রবিউল আলম এই হত্যার নির্দেশদাতা।

এ বিষয়ে কথা বলতে রবিউল আলমকে ফোন দেওয়া হয়। তবে তার মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে হোয়াটসঅ্যাপে কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ