
সমাপ্তী খান, মাভাবিপ্রবি: মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) কর্মকর্তা এবং মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর নাতি আজাদ খান ভাসানী তার বিরুদ্ধে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদনকে ‘উদ্দেশ্যমূলক, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
গত ২১ সেপ্টেম্বর কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তাকে ঘিরে তদবিরে ব্যর্থ হওয়ায় স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ না করে দীর্ঘ ছুটিতে থাকার অভিযোগ ওঠে।
এর প্রেক্ষিতে আজাদ খান ভাসানী লিখিত বিবৃতিতে প্রতিবাদ জানান এবং দাবি করেন, রিপোর্টার ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই সংবাদ প্রকাশ করেছেন।
আজাদ খান বলেন, “আমি প্রায় ১৩ বছর ধরে সততা, নিষ্ঠা ও সুনামের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করেছি। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে স্বেচ্ছায় অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তবে কিছু প্রশাসনিক প্রক্রিয়া এবং গৃহঋণ নিষ্পত্তির জন্য কিছুটা সময় চেয়েছি। বর্তমানে আমি অনুমোদিত অর্জিত ছুটিতে রয়েছি, এবং চাকরি জীবনে আমার প্রায় ৫০০ দিনের অর্জিত ছুটি জমা রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, সংবাদে তার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিতির যেসব ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, তার অধিকাংশই পুরনো এবং ভুল প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করা হয়েছে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি দীর্ঘদিন বিশ্রামে ছিলেন এবং শুধুমাত্র সীমিতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় ছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি।
আজাদ খান অভিযোগ করেন, “রিপোর্টার পূর্বপরিচিত এবং তার ব্যক্তিগত স্বার্থে আমাকে তদবিরের জন্য চাপ দিয়েছিলেন। গত ৪ আগস্ট স্থানীয় একটি ব্রিজ প্রকল্পের বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে সুপারিশ চাইলে আমি সংশ্লিষ্ট দলের নেতার নম্বর দেই, তবে উপদেষ্টার ব্যক্তিগত নম্বর দিতে অপারগতা জানাই। এরপরই আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের প্রক্রিয়া শুরু হয়।”
তিনি বলেন, সংবাদে তার পরিবারের একজন সদস্যের মন্তব্য সংযোজন করা হয়েছে, যার সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের আদর্শগত মতবিরোধ রয়েছে। তিনি এই প্রতিবেদনের হেডলাইন, ভাষা ও ফ্রেমিংয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণের সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দেখেছেন।
আজাদ খান বলেন, “চাকরি থেকে অবসরের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে যথাযথ তথ্য যাচাই না করে এবং প্রক্রিয়া সম্পর্কে সঠিক ধারণা না নিয়েই উত্তেজনাপূর্ণভাবে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। এতে সাংবাদিকতার নিরপেক্ষতা মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে।”
মেহেদী হাসান খানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোনে পাওয়া যায়নি; বারবার ফোন কেটে দেওয়ায় সংবাদটি একপক্ষীয় ও অসঙ্গতিপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে।
অভিযুক্ত মেহেদী হাসান খানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোনে সাড়া দেননি; বরং কল কেটে দিয়েছেন।